নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তিনদিনের সফরে দিল্লি এসেছেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমান আল সৌদ। ২০১৯ এর পর এটাই তাঁর দ্বিতীয় ভারত সফর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন। এনার্জি, কৃষি, বাণিজ্য, অর্থনীতি সহ একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে দুই দেশের।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি এসেছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য সৌদি যুবরাজ সফরের সময়সীমা বাড়িয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি যুবরাজের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় দুই দেশের রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যেয় সৌদি যুবরাজকে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অভ্যর্থনা জানাবেন। পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়ানোর উপায়গুলি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করবেন দুই নেতা।
সৌদি যুবরাজের এই সফর অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ ৫২.৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভারত এবং সৌদি আরব বাণিজ্যক্ষেত্রেও একে অপরের সহাবস্থানে রয়েছে। সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য, সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ভারত থেকে ইউরোপে বাণিজ্য, শক্তি এবং তথ্য প্রবাহকে সুনির্দিষ্ট করার লক্ষ্যে রেল ও বন্দর প্রকল্প চালু করতে ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।
ভারত-সৌদি আরব স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌদি আরব সফরের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নেয়। এই কাউন্সিল রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সহযোগিতার ওপর জোর দেয়। যা দুই দেশের মধ্যে গভীর সহযোগিতা এবং বোঝাপড়ার জন্য একটি কাঠামোগত কাঠামো প্রদান করে। বর্তমান বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং সৌদি যুবরাজের আলোচনা দুই দেশের সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেবে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।