নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে হলে হিজাব ছেড়ে বুথে ঢুকতে হবে। এমনই এক হুমকি পদ্মনেতার। ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর মেলুর।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, শনিবার সেখানে চলছে পঞ্চায়েত ভোট। হিজাব খুলে ভোট দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে আল-আমিন স্কুলে। হিজাব পরে বুথে ঢুকতে মহিলাকে বাধা দেন পদ্ম শিবিরের এজেন্ট গিরিরাজন। মহিলাকে সাফ জানিয়ে দেন, ভোট দিতে গেলে হিজাব খুলে ফেলতে হবে। এই নিয়ে ওই এজেন্ট এবং মহিলা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। মহিলা পদ্মশিবিরের নেতাকে সাফ জানিয়ে দেন, তিনি কোনও অবস্থাতেই হিজাব খুলবেন না। ভোট দেবেন হিজাব পরে।
তর্কাতর্কির খবর বুথের বিরোধী এজেন্টের কানে যেতে তারা বাইরে বেরিয়ে এসে মহিলার দাবিকে সমর্থন জানান। সেই সঙ্গে বুথের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের কাছে তারা দাবি তোলেন পদ্মশিবিরের ওই নেতা তথা এজেন্টকে সরিয়ে দেওয়ার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে পদ্মশিবিরের এজেন্ট ওই মহিলাকে হিজাব পরেই বুথে ঢোকার অনুমতি দেয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, একই দিনে কর্নাটকের একটি কলেজের ৫৮জন পড়ুয়াকে কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাদের বলা হয়েছিল, হিজাব পরে ক্লাস করা যাবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদি কলেজ কর্তৃপক্ষ সাসপেনশনের খবর অস্বীকার করে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের শুধুমাত্র সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন আত্মসম্মানই সব! কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের জেরে পদত্যাগ অধ্যাপকের