নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: আদিবাসী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) দেশের রাষ্ট্রপতি (President) পদে বসালেও উচ্চ বর্ণকে যে মোটেও চটাতে চান না নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)-অমিত শাহরা (Amit Shah) শনিবার মধ্যপ্রদেশের হেভিওয়েট নেতাকে দল থেকে তাড়িয়ে তা প্রমাণ করলেন। গ্বালিয়র-চম্বল এলাকার দাপুটে বিজেপি নেতা প্রীতম সিং লোধি (Pritam Singh Lodhi) সম্প্রতি ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। ওই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এদিন ভোপালে দলের সদর দফতরে ডেকে তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয়। দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি প্রীতম সিং লোধি (Pritam Singh Lodhi)।
গত বুধবার স্বাধীনতা সংগ্রামী রাণি অবন্তীবাই লোধির (queen Avantibai Lodhi) জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ব্রাহ্মণদের নিশানা করেছিলেন গ্বালিয়র-চম্বলের দাপুটে বিজেপি নেতা প্রীতম সিং লোধি (Pritam Singh Lodhi)। ব্রাহ্মণরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো আর হেনস্তা ছাড়া আর কিছুই করে না বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ওই মন্তব্যে যথেষ্টই চটে যান বিজেপিতে থাকা উচ্চ বর্ণের নেতারা। প্রবীণ মিশ্র (Praveen Mishra) নামে বিজেপির যুব মোর্চার এক নেতা লোধির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন।
কেন ওই মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যা চেয়ে লোধিকে দলের সদর দফতরে তলব করে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। এদিন সেই ব্যাখ্যা দিতে সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতীর (former Chief Minister Uma Bharti) অন্যতম ঘনিষ্ঠ নেতা। কিন্তু প্রীতম সিং লোধির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্য তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে জিততে না পারলেও গ্বালিয়র-চম্বলে যথেষ্টই প্রভাবশালী লোধি। ফলে তাঁকে দল থেকে তাড়ানোয় বিজেপি ওই এলাকায় ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।