নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের প্রার্থী দেখলেই তাড়া করুন! জনসভায় প্রকাশ্যে এমনই ‘হুমকি’ বার্তা দিলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক। তখন মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কিন্তু মঞ্চে ‘হুমকি’ দেওয়া বিজেপি বিধায়ককে একবারের জন্য থামাতে গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সেই জনসভার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, (যদিও এই মুহূর্তে সেই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করে নি)। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত বলছেন, তৃণমূলকে কোনও ভাবেই জমি ছাড়া যাবে না। আমাদের এখানে রাজত্ব করতে হবে। কাউকে কোনও ভাবে রেয়াত নয়। হাজার হাজার ভোট গিয়ে ভোটবাক্সতে ভরাতে হবে। আমি তোমাদের জন্য কাজ করি। তোমাদেরও আমাকে লিড দিতে হবে। কাউকে ছাড়বে না। তৃণমূল প্রার্থীকে যেখানে দেখবে সেখানেই তাড়া করবে।’
আর এই ঘটনার পর ফের ত্রিপুরায় আতঙ্কে ভুগছে ঘাসফুল শিবির। বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য প্ররোচনা ছড়াবে। এ ধরনের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা। কারণ, আদালত অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত ত্রিপুরায় তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। দলের কর্মীরা আত্মবিশ্বাসী। বিষয়টি আদালতের গোচরে আনা হবে। এমনিতেই ত্রিপুরায় পুরভোটে প্রার্থী দেওয়ার জন্য বারবার হামলা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিজেপির তরফে। কিছু প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনাও সামনে এসেছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের মামলার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরার পুলিশমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিবকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রচার করতে দিতে হবে, নিরাপদে ও অবাধে ভোট করাতে হবে।
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরাতে পুরভোট। তার আগেই উত্তর-পূর্বের এই পাহাড় ঘেড়া রাজ্যে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।