নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চাপ বাড়ল কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ( কেসিআর ) কন্যা ভারত রাষ্ট্র সমিতি ( বিআর এস) নেত্রী কবিতার। শনিবার তিনি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজিরা দেন। এরপরেই আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিল আদালত।
এই ঘটনার পরেই আইনজীবী বিক্রম চৌধুরি আদালতে জানিয়েছেন , ‘কবিতার রক্তচাপ বেশি এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক নয়। তাই কবিতাকে গ্রেফতারে আপত্তি রয়েছে।‘ আদালত বিক্রম চৌধুরির আবেদন গ্রহণ না করে ইডির হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তবে কবিতার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার এবং খাবার ও ওষুধ কেনার অনুমতি দিয়েছে। এদিন হাজিরা দেওয়ার পরেই কবিতা জানায়,’ তাঁকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আদালতে এই লড়াই লড়ব।‘ গতকাল অর্থাৎ ১৫ মার্চ দিল্লিতে মদের দোকানের লাইসেন্স বিলি সংক্রান্ত দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিআরএস নেত্রীর কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা।
টানা কয়েক ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পরেই বিস্তারিত তথ্য জানতে কেসিআর কন্যাকে নিজেদের হেফাজতে নেন তদন্তকারীরা। ইডির পক্ষ থেকে মামলার চার্জশিটে দাবি করা হয়, আবগারি নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে যে ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া, সেই সংস্থার ৬৫ শতাংশের মালিক কবিতা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেসিআর কন্যাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছিল সিবিআই। যদিও দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেছিলেন কবিতা। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ইডির সমন এড়িয়ে চলছিলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী। এমনকি ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত তাঁকে গ্রেফতারির হাত থেকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। কিন্তু সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই বড়সড় পদক্ষেপের পথে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ।