নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: টানা ২৫ বছর লোকসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। তবে তাতে ছেদ পড়ছে। লোকসভা ছেড়ে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধি। বুধবারই জয়পুরে গিয়ে রাজ্যসভার জন্য মনোনয়ন জমাও দিয়েছেন তিনি। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির পরে গান্ধি পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য হিসাবে সংসদের উচ্চকক্ষে পা রাখছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা, কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে রায়বরেলি থেকে সাংসদ হওয়ার সুযোগ করে দিতেই রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সোনিয়া।
সেই চর্চার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কেন লোকসভা ছেড়ে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। রায়বরেলির ভোটারদের উদ্দেশে জারি করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘বয়স বাড়ছে। তাছাড়া শরীরও আগের মতো আর ধকল নিতে পারছে না। শারীরিক কারণে তাই লোকসভা ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তের কারণে আপনাদের সরাসরি সেবা করার সুযোগ আর থাকছে না। কিন্তু আমার আত্মা ও হৃদয় সবসময়ে আপনাদের সঙ্গেই থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন সোনিয়া গান্ধি। প্রথমবার গান্ধি পরিবারের দুর্গ হিসাবে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের অমেথি লোকসভা আসন থেকে নির্বাচিত হন। প্রথমবার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েই লোকসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০০৪ সালে অমেথি থেকে সরে গিয়ে রয়বেরেলিতে দাঁড়ান সোনিয়া। মাঝে একবার কর্নাটকের বরেলি থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন। ফের রায়বরেলি থেকে দাঁড়ান। গত লোকসভা ভোটে অমেথিতে রাহুল গান্ধি হারলেও জিতেছিলেন সোনিয়া। যদিও গত কয়েক বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে বেশি যেতে পারেননি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর পরিবর্তে রায়বরেলির কাজকর্ম সামলাচ্ছিলেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।