এই মুহূর্তে




চেন্নাইয়ে দুই সন্তান-স্ত্রী সহ আত্মঘাতী ঋণের দায়ে জর্জরিত চিকি‍ৎসক




নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাইঃ হায়দরাবাদের পর এবার চেন্নাইয়ে। বিপুল ঋণে দায়গ্রস্ত হয়ে দুই সন্তান-স্ত্রী-সহ আত্মঘাতী এক চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার সকালে চেন্নাইয়ের আন্না নগরের একটি চিকিৎসকের বাড়ি থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী এবং দুই সন্তান। পুলিশের ধারণা, বিপুল ঋণের বোঝা সইতে না পেরেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যক্তি। যিনি পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। তথ্য অনুযায়ী, নিহত চিকিৎসকের নাম বালামরুগান, তিনি একজন সোনোলজিস্ট ছিলেন। তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন। তাঁর দুই ছেলের একজন NEET পরীক্ষার্থী যশবন্ত কুমার আর অন্যজন লিঙ্গেশ কুমার একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তাঁদের সকলকেই ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, চেন্নাই শহরজুড়ে একাধিক আলট্রাসাউন্ড সেন্টার ছিল নিহত চিকিৎসকের। সেই কারণেই তিনি বিপুল ঋণে জর্জরিত ছিলেন।

সূত্রের খবর, আজ সকালে নিহত চিকিৎসকের গাড়ির চালক যখন তাঁর বাড়িতে পৌঁছয়, তখন অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় তিনি চিকিৎসকের বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান। এবং গিয়ে দেখতে পান চিকিৎসক তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে ফ্যানে ঝুলছেন। অর্থাৎ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন চিকিৎসকের পরিবার। এ প্রসঙ্গে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমাদের সন্দেহ তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন। তারা ব্যাপক ঋণগ্রস্ত ছিলেন। আমরা তদন্ত করছি। এখনও পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’ তবে পরিবার কোনও সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছেন কিনা, তাঁরা মহাজনের চাপের মুখে এমন সিদ্ধান্ত বাধ্য হয়েছেন তা জানা যায়নি। সম্প্রতি গোটা দেশজুড়ে একই রকম ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

আরও পড়ুনঃ ‘অন্য কোন পথ খোলা নেই’, আর্থিক টানাটানিতে ২ শিশুসন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী দম্পতি

দিন কয়েক আগেও তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদে আর্থিক টানাটানির জেরে দুই শিশু সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন এক দম্পতি। একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের নাম চন্দ্রশেখর রেড্ডি, স্ত্রী কবিতা রেড্ডি, তাঁদের দুই সন্তান শ্রীতা রেড্ডি এবং বিশ্বন রেড্ডি। শ্রীতা নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং বিশ্বন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। প্রাথমিক সূত্রের খবর, আর্থিক অনটনের কারণে প্রথমে সন্তানদের শ্বাসরোধ করে আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটে উদ্ধার করা হয়েছিল। সেখানে তাঁরা লিখে গিয়েছিলেন যে, তাঁদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। পরে জানা যায়, গত ছয়মাস ধরে চন্দ্রশেখর রেড্ডি বেকার ছিলেন। যার কারণে তাঁদের পক্ষে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মারাত্মক আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি। উল্লেখ্য, গত মাস থেকেই বাংলায় একের পর এক আর্থিক টানাটানির জেরে মৃত্যুর ঘটনা পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমে কলকাতার ট্যাংড়াতে আর্থিক টানাটানির জেরে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়, পরে জানা যায় তাঁদের খুন করা হয়েছে। এরপরই বিপুল ঋণের বোঝা না সইতে পেরে হালতুতে আত্মঘাতী হন একই পরিবারের তিনজন। এছাড়া বীরভূমেও বিপুল ঋণের বোঝা সইতে না পেরে মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হন স্বামী।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার টোপে ছাত্রীদের ধর্ষণ, ৭২ ঘন্টা বাদে পুলিশি জালে হাথরসের অধ্যাপক

সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধাকে ২ মাস ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট, অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ২০ কোটি

বিশ্বের সবচেয়ে দামি কুকুর! ৫০ কোটি দিয়ে কিনেছেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা

ছত্তিশগড়ে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৩০ মাওবাদী, শহিদ এক ১ পুলিশ কর্মী

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল ইলন মাস্কের ‘এক্স’, সঙ্ঘাতের কারণ কী?

ধর্ষণ মামলার শুনানিতে পুলিশের উপর রেগে গেলেন দেশের প্রধান বিচারপতি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর