নিজস্ব প্রতিনিধি, জলন্ধর: কৃষক বিক্ষোভ প্রশমিত করতে বড়ো পদক্ষেপ করল পঞ্জাব সরকার। জানিয়ে দিল, আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে রেল নিরাপত্তাবাহিনীর দায়ের হওয়া মামলা প্রত্য়াহার করে নেওয়া হবে। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ব্যাপারে আরপিএফের চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন, কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা যেন দ্রুত প্রত্য়াহার করে নেওয়া হয়।
পাশাপাশি করোনায় পিতৃহারা তরুণীদের ক্ষেত্রে আশীর্বাদ প্রকল্পের আওতায় আয়ের উর্ধ্বসীমা মকুব করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি এবং তার পরে যে সব রাজ্যসরকারি কর্মী কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রত্যেক পরিবার পারিবারিক পেনশন পাবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষক বিক্ষোভ প্রশমিত করতে এর আগেও পঞ্জাব সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করে। সেই সব পদক্ষেপের মধ্যে ছিল যে সব কৃষক পরিবারের মাসপিছু বিদ্যুৎ খরচ ২ কিলো ওয়াট, তাদের ক্ষেত্রে বিল মকুব করেন। সেই সঙ্গে জানান, বকেয়া মিল না মেটানোর অভিযোগ যে সব কৃষক পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, সেই সব পরিবার পুনরায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পাবে।
ঘটনাচক্রে শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের বাড়ির সামনে শতাধিক কৃষক বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজন প্রতিবাদীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রাজ্য প্রশাসনের একাংশ আজকের এই আচমকা বিক্ষোভে গোয়েন্দা বিভাগের ব্য়র্থতা দেখছে। এখন দেখার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় কৃষক বিক্ষোভ কতটা প্রশমিত হয়।