নিজস্ব সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি : বিজেপি যেন ওয়াশিং মেশিন। সেখানে গেলে সাত খুন মাফ। তৃণমূল সহ বিরোধীরা হামেশাই এ অভিযোগ করে থাকেন। সিবিআই-ইডির জুজু দেখিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা করে বিজেপি বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে শিবসেনায় ভাঙনের নেপথ্যেও এই কারণ দেখিয়েছিল বিরোধীরা। এবার সেই অভিযোগে সিলমোহর দিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এক টুইট বার্তায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে জানান, গেরুয়া শিবির থেকে নাকি তাঁর কাছে প্রস্তাব এসেছিল যে, তিনি যদি আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে সব মামলা থেকে রেহাই মিলবে।
দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়া। শনিবার ১৪ ঘণ্টা ধরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। একবার রটে যায় সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও পরে জানা যায় তা ভুয়ো। এই আবহে মণীশ সিসোদিয়া বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির তরফে নাকি তাঁকে আম আদমি পার্টি ভেঙে তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সোমবার এক টুইট বার্তায় মণীশ লেখেন, ‘আমার কাছে বিজেপির বার্তা এসেছে – ‘আম আদমি পার্টি’ ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিন। সিবিআই, ইডির সমস্ত মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিজেপিকে আমার জবাব- আমি মহারানা প্রতাপের বংশধর, আমি রাজপুত। মাথা কেটে ফেলব কিন্তু দুর্নীতিবাজ, ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে মাথা নত করব না। আমার বিরুদ্ধে সব মামলা মিথ্যে, যা খুশি করুন।’
এর আগে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। মুখ্যসচিবের প্রতিবেদনের পর তিনি এই সুপারিশ করেন। রিপোর্টে ডেপুটি সিএমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মণীশ সিসোদিয়ার নামে এফআইআর করার আগে রাষ্ট্রপতির থেকে অনুমতি নেয় সিবিআই। সিসোদিয়ার পাশাপাশি শনিবার দিল্লির তৎকালীন আবগারি কমিশনার আরভ গোপীকৃষ্ণের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। প্রসঙ্গত, আবগারি দফতর সিসোদিয়ার অধীনে। এই আবহে অভিযানে সিসোদিয়ার বাড়ি থেকে কম্পিউটার, ফোন এবং বিভিন্ন সরকারি ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।