নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঝাড়খণ্ডে আস্থা ভোটে খানিক স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আগামী ৫-৬ ই ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় আস্থা ভোট। আর সেই ভোটের আগেই বড় ঘোষণা করল ঝাড়খণ্ডের আদালত। শনিবার রাঁচির একটি বিশেষ আদালত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
অন্যদিকে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ৫ দিনে ইডি হেফাজতে গিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির গ্রেফতারিতে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বিশেষ বেঞ্চ হেমন্ত সোরেন গ্রেফতারি নিয়ে বলেছেন ,’এই মামলায় হস্তক্ষেপ করছি না, হাইকোর্টে যান। ‘
গত ৩১ শে জানুয়ারি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সাত ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর হেমন্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে রাঁচির বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে একদিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এই নেতা রাজ্যে ৬০০ কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারিতে সরাসরি জড়িত। তবে একথা অস্বীকার করেছেন হেমন্ত।
গত ২০ জানুয়ারি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ৪৮ বছর বয়সী হেমন্ত সোরেনকে টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর। এরপরেই গত ২৭ শে জানুয়ারি ইডি হেমন্ত সোরেনকে নতুন করে চিঠি পাঠিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। নয়বার ইডির সমন এড়িয়ে যাওয়া হেমন্ত সোরেনকে ২৯ জানুয়ারি বা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই কারণেই ২৯ শে জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট ইডি প্রথম ডেকে পাঠান হেমন্ত সোরেনকে। সেই সময় হাইকোর্টে সোরেন দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তৈরি করার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডি-র দাবি, ঝাড়খণ্ডে মাফিয়াদের দ্বারা অবৈধভাবে জমির মালিকানা পরিবর্তনের একটি বিশাল চক্র- এর সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাহেবগঞ্জে বেআইনি খনন সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি ২০২১ সালে তিনি নির্বাচনী বিধি ভেঙে নিজের নামে খনির লিজ আদায় করেছিলেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হেমন্ত সোরেন।