নিজস্ব প্রতিনিধি: উৎসবের মরশুম চলছেই। আগেই কেন্দ্রের তরফে উৎসবের মরশুমে সব রাজ্যকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার না করতেই নির্দেশ দেয়। এরই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও একটি বিধিনিষেধ জারি রয়েছেই। সেটাই আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার শাহের মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যসচিবদের কাছে। কেন্দ্রের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, দেশে এখনও একাধিক রাজ্যে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এখনও বাকি উৎসব, তাই লাগাম হাতে রাখতেই চাইছে কেন্দ্র। দু’দিন আগেই কলকাতার করোনা গ্রাফের উর্দ্ধমুখ নিয়ে চিন্তিত ছিল কেন্দ্র। সেই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠিও পাঠান। এছাড়াও ভারতে এই মুহূর্তে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সেইসব দিক বিচার করেই আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল করোনার বিধিনিষেধ। দেশে কোভিড সংক্রমণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেই এই নির্দেশ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ১৫৬ জন। নতুন করে করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৭৩৩ জনের। এর মাঝেই দেশে covid-19 variant AY.4 নামে করোনার নয়া প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ডেল্টা প্রজাতির ফাঁড়া কাটতেই হাজির হয়েছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে সাত জনের শরীরে এই নয়া প্রজাতির করোনা সংক্রমণের খোঁজ মেলায় চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকদের মধ্যে। ইন্দোর, কর্ণাটকের পর আরও তিন রাজ্যে মিলেছে এই নয়া প্রজাতির সংক্রমণের খোঁজ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন কমে ০.৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৮৯ জনে। যা গতকালের থেকে ১৬৭২ জন কম। তবুও ঢিলেমি দিতে চাইছে না কেন্দ্র। তাই এই বিধিনিষেধ বাড়ল কেন্দ্র।