নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভারতের আর্থিক লেনদেনের বাজারেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টো কারেন্সি। আর অনেকেই বিদেশে অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো কারেন্সিকে হাতিয়ার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ওই অভিযোগের পরেই নড়েচড়ে বসল অর্থ মন্ত্রক। আজ বুধবার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘ক্রিপ্টো কারেন্সি ও ভার্চুয়াল অ্যাসেটও অর্থ পাচার আইনের (মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) আওতায় পড়বে।’ অর্থাৎ ক্রিপ্টো কারেন্সির লেনদেনে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে ইডি।
চিন সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ সব ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি লেনদেনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল টোকেন বা মুদ্রা নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ওই পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের শীর্ষ মহলের যুক্তি ছিল, দেশের মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশের কাছে ক্রিপ্টো সম্পত্তি রয়েছে। তবে যাতে অন্যান্য দেশের মতো বিটকয়েন, ডোজ কয়েনের মতো ক্রিপ্টো কারেন্সি জাঁকিয়ে বসতে না পারে তার জন্য ক্রিপ্টো লেনদেনের উপরে ৩০ শতাংশ কর এবং উৎসের উপরে আরও অতিরিক্ত এক শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে সরকারের তরফে।
গত কয়েকদিন ধরেই অবশ্য দেশে ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন নিষিদ্ধ হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। তার মধ্যেই বিটকয়েন, ডোজ কয়েনের লেনদেন ও ভার্চুয়াল অ্যাসেটকে অর্থ পাচার আইনের আওতায় আনল মোদি সরকার। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকেও বেশ কয়েকটি ক্রিপ্টো লেনদেন সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।