নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিজেপি নেত্রী সানা খান হত্যা ঘটনার ২১ দিন পেরিয়েছে। স্বামী অমিত সাহুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সানা খানের মৃতদেহ উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থতিতে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। সানা খানকে মধুচক্রে ব্যবহার করা হত। এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করত সানা। সেই টাকা বণ্টন নিয়েই বিবাদের জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয় বলে সানা খানের মা জানিয়েছেন।
তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ এনেছেন, অমিত সাহু তাঁর মেয়েকে মধুচক্রের টোপ হিসেবে ব্যবহার করতেন। সাহুর নির্দেশেই নাগপুর, জব্বলপুর, সিউনিসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে যেতেন সানা। তাঁদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত তৈরির সময় গোপনে ভিডিও করতেন। পরে তাঁদের ব্ল্যাকমেইল করা হত। ভিন রাজ্যেও সাহুর মধুচক্রের ফাঁদ পেতেছিলেন। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশেও মানুষকে নিজের শিকার বানিয়েছিল। সানা খান ও অমিত সাহুর বিবাহের পর দুজনেই এই কাজ করতেন। সানাকে সন্দেহ করতেন অমিত। প্রায়শই তাঁদের অশান্তি চলত।সানার ফোনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অমিতের ফোনও পুলিশ এখনও পায়নি।
১ অগস্ট জবলপুরের বাড়িতে সানা খানের সঙ্গে বিবাদের পর তাঁকে অমিত হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অমিত ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে নাগপুর পুলিশ।