নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজধানীর মেয়র নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সুপারিশকেই সিলমোহর দিলেন উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লি পুরসভার অধিবেশন ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিনই ডেপুটি মেয়র ও স্ট্যান্ডিং কমিটির ছয় সদস্য নির্বাচিত হবেন। দিল্লির মেয়র নির্বাচন নিয়ে প্রথমে ১০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত করেছিলেন উপরাজ্যপাল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৩, ৪ ও ৬ তারিখ ভোট করানোর সুপারিশ করেন। প্রথম দুদফায় আম আদমি পার্টি ও বিজেপি কাউন্সিলরদের লড়াইয়ের কারণে ভেস্তে গিয়েছিল রাজধানীর মেয়র নির্বাচন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বিঘ্নে ভোট করা যায় কিনা, সে দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।
গত বছর দিল্লির পুর নিগম নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতে পেয়েছিল আপ। টানা ১৫ বছর বাদে রাজধানীর পুর পরিষেবার ভার হাতছাড়া হয়েছিল কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির। ২৫০ আসনের মধ্যে ১৩৪ আসনে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। বিজেপির ভাগ্যে গিয়েছে মাত্র ১০৪টি আসন। মেয়র পদে কাউন্সিলর ছাড়াও দিল্লির সাত লোকসভা সাংসদ, রাজ্যসভার তিন সাংসদ ও বিধানসভার ১৪ বিধায়ক পদাধিকার বলে ভোট দেন। সব মিলিয়ে ২৭৪ জন ভোটদাতার মধ্যে আপের রয়েছে ১৫০ সদস্য। কিন্তু রাজধানীর পুরসভা হাতছাড়া হওয়া কিছুতেই হজম হচ্ছে না পদ্ম নেতাদের।
তাই দু’দুবার মেয়র নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হলেও বিজেপির বাধায় ভোটাভুটি করানো যায়নি। গত ৬ জানুয়ারি মেয়র ভোট ঘিরে কার্যত মল্লযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন আপ ও বিজেপি কাউন্সিলররা। ফলে ভেস্তে গিয়েছিল নির্বাচন। মঙ্গলবার ফের মেয়র নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছিল। কিন্তু আবারও বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি ও আপ প্রতিনিধিরা। ফলে ভেস্তে যায় নির্বাচন। আপের অভিযোগ, ‘নির্বাচনে হারের যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। তাই ঘুরপথে দিল্লি পুরসভা দখল রাখতে চাইছেন তাঁরা। আর এ ক্ষেত্রে তাঁদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন মোদি সরকারের পোষ্যভৃত্য উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা।’