নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির(School Recruitment Scam) ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC) আক্রমণ করতে ছাড়েনি কোনও বিরোধী দলই। সেই আক্রমণে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি, সবারই ঝাঁঝ ছিল একই। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একের পর এক মামলায় চাঞ্চল্যকর রায় দিয়ে রাজ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Gangopadhay)। কিন্তু তিনিই বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে(BJP) যোগ দেন। শুধু তাই নয়, পদ্মশিবির তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্র(Tamluk Constituency) থেকে প্রার্থীও করেছে। উল্টোদিকে তৃণমূল সেই আসনে প্রার্থী করেছে একদম তরুণ দেবাংশু ভট্টাচার্যকে(Debangshu Bhattacharya)। কেন তমলুকে দেবাংশুকে প্রার্থী করা হয়েছে এদিন তাঁর সমর্থনেই মহিষাদলে সভা করতে এসে নিজেই তাঁর ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সেই সভা থেকে একহাত নেওয়ার পাশাপাশি মমতা দেবাংশুকে কিছু পরামর্শও দেন।
এদিন সভা থেকে মমতা বলেন, ‘এখানকার বিজেপি প্রার্থী তো একেবারে মহানুভব প্রার্থী। ঈশ্বরের ঠিক পরেই নাকি আবার ঈশ্বরের উপরে? বিচারপতি হয়ে সবচেয়ে বেশি চাকরি খেয়েছেন। প্রার্থী হয়ে উনি ভাবছেন, এটাও বিচারালয়। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছেন। ছিলেন বিকাশরঞ্জনের জুনিয়র। এখন গদ্দারের সিনিয়র। আগে দেবাংশুর সঙ্গে লড়ুন, তার পর মমতাকে গালাগালি করবেন। আমরা এখানে অন্য প্রার্থী দিইনি ইচ্ছে করেই। ছাত্র-যুবরা, যাদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে দেবাংশু লড়বে এখানে। হাজার হাজার ছাত্র, যুবদের চাকরি খেয়েছেন আপনি, কী ভাবছেন আপনাকে ছেড়ে দেব? দেবাংশুকে বলব, এই তমুলক থেকে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সামনে এনে দুঃখের কথা বলো। মানুষের কথা বলো। ওদের সঙ্গে চলো। ১৯৮৪ সালে আমার খুব কম বয়স ছিল। তা সত্ত্বেও যাদবপুর থেকে দাঁড়িয়ে সিপিএমকে হারিয়ে জিতেছিলাম। তখন থেকেই ওরা আমাকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। দেবাংশুকেও তাই পাঠিয়েছি এখানে, এত কম বয়সে। এই বয়স থেকে ও রাজনীতিটা দায়িত্ব নিয়ে করুক।’