নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সরাসরি আইএএস ও আইপিএস নন, এমন আধিকারিকদের জেলাশাসক ও এসপির পদ থেকে সরাতে হবে। বৃহস্পতিবার দেশের প্রতিটি রাজ্যকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ রাজ্য ক্যাডারের কোনও আধিকারিককে জেলার দুই শীর্ষ পদে রাখা যাবে না। অবিলম্বে ওই নির্দেশ কার্যকর করে তা কমিশনকে জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি রাজ্যেই শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজ্য ক্যাডারদের আধিকারিকদের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার পদে বসিয়ে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রবীণ আমলারা মনে করছেন, কমিশনের এমন নির্দেশ অবাস্তব। কেননা, দেশের একাধিক রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরাসরি আইএস-আইপিএস ক্যাডারের আধিকারিক নেই। ফলে নন ক্যাডারদের পদোন্নতি দিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের পদ পূরণ করতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকারগুলি।
এদিন কমিশনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে নন ক্যাডার হওয়ার কারণে গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যে একাধিক জেলাশাসক-পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। গুজরাতের ছোটা উদয়পুর, আমদাবাদ (গ্রামীণ), পঞ্জাবের পাঠানকোট, জলন্ধর, ফাজিলকা ও মালেরকোটলার পুলিশ সুপারদের অপসারিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ওড়িশার ঢেঙ্কানলের জেলাশাসক এবং দেওঘর ও কটকের(গ্রামীণ) পুলিশ সুপারদের সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু এখানেই থামেননি নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ থাকায় পঞ্জাবের ভাতিন্ডা ও অসমের শোনিতপুরের পুলিশ সুপারদেরও বদলির আদেশ দিয়েছে। দুজনেই অবশ্য সরাসরি আইপিএস ক্যাডার।