নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা লোকসভা আসনের বিধায়ক কার্তি চিদাম্বরমকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের পর কার্তি জানিয়েছেন, তিনি এখন সংসদের চলমান অধিবেশনে ব্যস্ত আছেন। ২০২২ সালের ইডি মামলায় কার্তি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এস ভাস্কররমনের বিরুদ্ধে বেদান্ত গ্রুপের সংস্থা তালওয়ান্ডি সাবো পাওয়ার লিমিটেড (TSPL) নামক এক কোম্পানিতে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনার পরেই কার্তি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন ইডির এই মামলাটি ভুয়ো। সিবিআই ২০২২ সালে চিদামব্রম পরিবারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভাস্কররমনকে গ্রেপ্তার করেছিল । সেইসময় কার্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
উল্লেখ্য, মানি লন্ডারিং মামলাটি সিবিআইয়ের অভিযোগ থেকে উদ্ভূত। সিবিআইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের কাজ একটি চীনা সংস্থা সম্পাদন করছিল এবং নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পিছিয়ে ছিল। সিবিআইয়ের এফআইআর অনুসারে, টিএসপিএল-এর এক আধিকারিক ২৬৩ জন চিনা কর্মীর জন্য পুনরায় প্রকল্প ভিসা ইস্যু করার আবেদন করেছিলেন।
শুধু তাই নয় সিবিআই দাবি করেছে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও ইস্পাত খাতের জন্য প্রকল্প ভিসা চালু করা হয়েছিল। তবে পি চিদাম্বরমের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যে প্রকল্প ভিসায় পুনরায় ইস্যু করার কোনও বিধান নেই । প্রকল্প ভিসার পুনঃব্যবহারের ক্ষেত্রে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু তালওয়ান্ডি সাবো পাওয়ার লিমিটেড সেই নির্দেশিকা মানেনি।
তবে সিবিআই এর অভিযোগ এরআগেও মিথ্যে বলে দাবি করেছে কার্তি। শুধু তাই নয় কার্তি দাবি করেছিলেন তাঁর বাবা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে টার্গেট করে এসব করা হচ্ছে। কার্তি জানিয়েছেন, ‘২৫০ জন তো দূরের কথা, একজন চীনা নাগরিককেও ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেননি।‘ তবে কয়েক বছর ধরে কার্তির বিরুদ্ধে এটি তৃতীয় মানি লন্ডারিং মামলা।