-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 8:18 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যেই অশনিসঙ্কেত। গত এক সপ্তাহে দেশে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার অনেকটাই খালি হয়েছে। ১৯ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে ৬.০৫২ ডলার কমে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার দাঁড়িয়েছে ৫৯৩ দশমিক ৪৭৭ বিলিয়ন ডলারে। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যদিও বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার কমলেও উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এক শীর্ষ আধিকারিক।
স্বস্তি দিয়ে মে মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার বেড়েই চলছিল। ১২ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে মুদ্রা ভাণ্ডার বেড়েছিল ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। যার ফলে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬০০ বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু লাগাতার দুই সপ্তাহের পরে আচমকাই কমেছে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার। পাশাপাশি দেশের সোনার সঞ্চিত তহবিলও হ্রাস পেয়েছে। ১.২২৭ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫.১২৭ বিলিয়ন ডলারে।
উল্লেখ করা যেতে পারে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বকালীন সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। ভাণ্ডারে ছিল ৬৪৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বিশ্বের শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, টাকার তুলনায় ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০২২ সালের শুরু থেকেই বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে যেতে থাকে। ডলারের বিপরীতে টাকার পতন ঠেকাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার ফলে কমতে শুরু করেছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার।