নিজস্ব প্রতিনিধি: সদ্যই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফালেইরো (LuiZinho Falerio)। এরমধ্যেই তাঁকে বড় পদে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বড় দায়িত্বও দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইট করে জানানো হল লুইজিনহো ফালেইরোকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও টুইট করে জানান লুইজিনহোর নতুন দায়িত্বের কথা। তিনি এও জানান, তাঁকে এই পদে মনোনীত করেছেন খোদ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেসের সঙ্গে প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো সম্পর্ক ভেঙে হাত শিবির ছেড়ে পাকাপাকিভাবে ঘাসফুলে যোগ দিয়েছিলেন লুইজিনহো ফালেইরো। ফলে তাঁর হাত ধরেই এবার গোয়ায় জোড়াফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। ইতিমধ্যেই গোয়ার পানাজিতে দলীয় কার্যালয় চালু করে দিয়েছে তৃণমূল। রোজই কেউ না কেউ যোগ দিচ্ছেন জোড়াফুলের পতাকা তলে। ফলে সংগঠন দ্রুত বিস্তার পাচ্ছে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে। এরমধ্যেই জানা গিয়েছে আগামী ২৮ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ সফর শেষে গোয়া যাবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই লুইজিনহো ফালেইরোকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
এর আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন, তিনি খুব শীঘ্রই গোয়া যাবেন। তবে তাঁর গোয়া যাত্রার দিনক্ষণ জানা না গেলেও স্বয়ং দলনেত্রীর গোয়া যাওয়া কার্যত নিশ্চিন্ত। ফলে ওই রাজ্যে তৃণমূলের প্রভাব আরও বাড়বে বই কমবে না। দেশের উত্তর পূর্ব অংশে ত্রিপুরা ও অসম ছাড়াও বর্তমানে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের গোয়ায় ক্ষমতা দখলও পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের মানুষ বিজেপির উপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলেই দাবি করেছেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা গোয়ার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতবারের কংগ্রেস সাংসদ লুইজিনহো ফালেইরো।
তিনি এও জানিয়েছিলেন, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনার পরই তিনি বুঝেছিলেন দিদিই (মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়) হচ্ছে একমাত্র শক্তি, যার হাত ধরে শাপমুক্তি ঘটবে গোয়ার। যাকে অপমান করে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দিয়ে ভয় দেখিয়েও নোয়ানো যায়নি। তাই এই দেশে দিদির মতোই একজন নির্ভিক লিডার দরকার বলে জানিয়েছেন লুইজিনহো ফালেইরো।