নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ক্ষমতা প্রয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সতর্ক থাকা উচিত। এমনকী আস্থা ভোট নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার ফলে সরকার যে পড়ে যেতে পারে, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডের মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এমনকী মহা বিকাশ আঘাড়ির জোট সরকারের পতনের পিছনে মহারাষ্ট্রের তদানীন্তন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ৩ বছরের মহা বিকাশ আঘাড়ির জোট সরকার হঠাৎ কী করে ভেঙে গেল, তা জানতেও কৌতূহল প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
গত বছর জুনে তৎকালীন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে দলের একাংশ বিধায়ক। ওই বিদ্রোহের পরে ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের তৎকালীন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে আস্থাভোট নেওয়ার নির্দেশ দেন। আস্থাভোট স্থগিত করার আর্জি জানিয়ে উদ্ধব শিবির সুপ্রিম কোর্টে গেলেও আদালত ২৯ জুন তাদের আর্জি খারিজ করে দেয়। মহারাষ্ট্রের কুর্সি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বালাসাহেব-পুত্র। যদিও শিবসেনার বিদ্রোহী নেতাদের বিধায়ক পদে থাকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল উদ্ধব শিবির।
বুধবার ওই মামলার শুনানিতে নিজের পর্যবেক্ষণে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, ‘ কোনও বিষয়ে একটা দলের মধ্যে মতপার্থক্য হল। তা হলে কি সেই দলকে আস্থাভোট নেওয়ার কথা বলবেন রাজ্যপাল? রাজ্যপালকে স্মরণে রাখতে হবে যে, তিনি যথার্থ বিবেচনা না করে আস্থাভোট আহ্বান করলে নির্বাচিত সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে। ফলে ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের।