নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি এই মুহুর্তে ডট কমের পক্ষে)। তাতে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী জোর করেই এক মহিলা কর্মীকে চেপে ধরে চুম্বন করছেন। ওই মহিলার গায়ে, পিঠে হাত দিচ্ছেন। হাত ধরছেন। তবে ওই মহিলা বারবার দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও জোর-জবরদস্তি করছেন ওই সরকারি আধিকারিক। জানা যাচ্ছে, ওই ভাইরাল ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের হুসেনগঞ্জের সরকারি অফিসে তোলা হয়েছে। ওই অফিসেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরে আন্ডার-সেক্রেটারি পদে কর্মরত ওই ব্যক্তি। আর ওই মহিলা একই অফিসের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত।
লখনউয়ের হুসেনগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বছর তিরিশের ওই বিবাহিত মহিলা। অভিযোগপত্রে তিনি দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে ওই সরকারি অফিসে চুক্তিভত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন। ওই দফতরেই সেকশন ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত অভিযুক্ত আধিকারিক ইচ্ছারাম যাদব। মহিলার অভিযোগ, সেই ২০১৮ সাল থেকেই তাঁকে মানসিক ও শারীরিক হেনস্থা করছেন অভিযুক্ত। বিভিন্ন ধরণের কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন। এমনকি তাঁর কথামতো কাজ না করলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন সরকারি আধিকারিক ইচ্ছারাম যাদব। এরপরই কয়েকদিন আগে সন্ধ্যেবেলা মহিলাদের টয়লেটে ঢুকে পড়ে তাঁকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন এবং আপত্তিকর স্পর্ষ করেন।
জানা যাচ্ছে ওই মহিলাই বুদ্ধি করে ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছেন। পরে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু গত ২৯ অক্টোবর হুসেনগঞ্জ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা, ৫০৬ ধারা এবং ২৯৪ ধারায় মামলা রুজু করলেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছিল। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই উঠতে শুরু করেছিল প্রশ্ন। এরপরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ফলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। লখনউয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খ্যাতি গর্গ জানিয়েছেন, অভিযোগকারিনী মহিলার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করার পর ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে।
