এই মুহূর্তে




মার্কিন চালে মিলল ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ধাতু, সুরক্ষায় বিশ্বসেরা ভারতীয় বাসমতী




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাঙালি ছাড়াও দেশের অনেক জাতির প্রিয় এবং রোজকার খাবারের তালিকায় রয়েছে ভাত। অর্থাৎ ধান থেকে চাল, আর চাল ফুটিয়ে ভাত। বিশেষ করে, গরীব-দুঃখী পরিবারের জন্যে খাবারের মধ্যে ভাতটাই শেষ কথা। কিন্তু সেই চালেই এখন ভেজাল। তবে ভারত নয়, আমেরিকান থেকে আসা চালে উচ্চমাত্রার আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণেই আমেরিকান চাল ফুটিয়ে ভাত না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের। আমেরাকান চালে পাওয়া আর্সেনিক হল একটি রাসায়নিক উপাদান। যা প্রাকৃতিকভাবে পাথর, মাটি এবং জলে পাওয়া যায়। আর মানব শরীরে এটি জমা হলে, কোমা, হৃদরোগ, লিভারজনিত রোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো একাধিক মারণ রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমেরিকান চাল খেতে নিষেধ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কোন চালের ভাত খাওয়া উচিত? এক্ষেত্রে ভারতীয় বাসমতী এবং থাই জেসমিন চালকে সবচেয়ে নিরাপদ চাল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সুরক্ষার্থে ভারতীয় বাসমতী চাল বিশ্বসেরা বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি, শিশু রক্ষার্থে কাজ করা একটি অলাভজনক সংস্থা হেলদি বেবিজ ব্রাইট ফিউচারস চালের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখান থেকেই তাঁরা খুঁজে পেয়েছে যে, আমেরিকান চালে অজৈব আর্সেনিকের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে ক্যালিফোর্নিয়ার সাদা চাল, থাইল্যান্ডের জেসমিন চাল, ভারতের বাসমতী চালে আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা একেবারেই কম। এ বিষয়ে ডার্টমাউথের গিজেল স্কুল অফ মেডিসিনের মহামারিবিদ্যার অধ্যাপক মার্গারেট কারাগাস জানিয়েছেন যে, ‘চালে আর্সেনিক থাকা, গর্ভবতী মহিলা, ছোট শিশু, যারা ঘন ঘন ভাত খান অর্থাৎ ভাতপ্রেমী, তাঁদের জন্যে খুবই বিপজ্জনক। আর্সেনিকের বিষাক্ত প্রভাবে ক্যান্সারের মতো মারণরোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।’ এই পরীক্ষার জন্যে গবেষকরা অ্যামাজন, জো’স, সেফওয়ে, কস্টকো এবং টার্গেটের মতো খুচরা অনলাইন শপিং অ্যাপ থেকে কেনা ১৪৫টি ধানের জাত পরীক্ষা করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, নমুনাগুলিতে আমেরিকার উৎপাদিত চালের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা চালও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তুলনা করার জন্য তাঁরা কুইনোয়া, ফারো, কুসকুস এবং স্পেলের মতো অন্যান্য শস্যও পরীক্ষা করেছিলেন।

তবে সব চালের নমুনাতেই তাঁরা অজৈব আর্সেনিক পেয়েছেন, যা ধাতুর সবচেয়ে বিষাক্ত রূপ। আশ্চর্যজনকভাবে, এই নমুনাগুলির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল শিশুদের জন্য তৈরি ধানের শস্য। যেখানে আর্সেনিকের মাত্রা FDA-এর নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। বেশিরভাগ আমেরিকান ধানের জাতের আর্সেনিকের মাত্রা অন্যান্য শস্যের তুলনায় ২৮ গুণ বেশি ছিল। সাদা চালের তুলনায় বাদামী চালে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি ছিল। কারণ এর বাইরের স্তরে ভুসি এবং জীবাণু থাকে। যেখানে ধাতুর জমা হওয়া সহজ। ইতালির আরবোরিও চাল এবং দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকার সাদা এবং বাদামী চালও পরীক্ষিত চালের জাতগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ আর্সেনিক জাত ছিল। তবে, ক্যালিফোর্নিয়ার সাদা চাল, থাইল্যান্ডের জেসমিন চাল এবং ভারতের বাসমতী চালে আর্সেনিকের মাত্রা সবচেয়ে কম ছিল। তাই গবেষকরা ক্যালিফোর্নিয়ার সাদা চাল, থাইল্যান্ডের জেসমিন চাল এবং ভারতীয় বাসমতী চালকে বেশি নিরাপদ বলে দাবি করেছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এবার পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ভারতীয় সেনা জওয়ান

পদ্মফুলে কেন বিরাজ করেন দেবী লক্ষ্মী? জেনে নিন অজানা কাহিনি

দামাস্কাসে সিরিয়ার সেনা সদর দফতরে ইজরায়েলি হামলা

জোর করে মুসলিম ছেলের সঙ্গে বিয়ে, পাকিস্তানে ক্রমেই বাড়ছে হিন্দু নারী অপহরণের ঘটনা

‘চোখের বদলে চোখ’, নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে অনড় নিহতের ভাই

‘দেশে ভিক্ষুক নেই’, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে পদ হারালেন কিউবার মন্ত্রী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ