নিজস্ব প্রতিনিদি, সিমলা: বাবা ছিলেন রাজ্য পরিবহণ নিগমের গাড়ির চালক। একার আয়ে সংসার টানতে হিমশিম খেতেন। তাই বাবার পাশে দাঁড়াতে ছোট বেলায় দুধও বিক্রি করেছেন সুখবিন্দর সিং সুখু। দারিদ্র্যকে বরাবর কাছ থেকে দেখেছেন। তাই সারা জীবন মাটিতে পা রেখেই রাজনীতি করেছেন। হাজার প্রলোভনেও বিজেপি শিবিরে নাম লেখাননি। অবশেষে তার স্বীকৃতি পেলেন ৫৮ বছর বয়সী রাজনেতা। শনিবার সন্ধ্যায় হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অজাতশত্রু মানুষটিকেই বেছে নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
কলেজে পড়ার সময়েই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের হয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তখন বয়স মাত্র ১৭ বছর। তার পরে রাজনীতিকেই ধ্যানজ্ঞান করেছিলেন সুখবিন্দর সিং সুখু। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআইয়ের রাজ্য সভাপতিও হয়েছিলেন। হিমাচল প্রদেশ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রির পাশাপাশি এলএলবি’ও করেন। সিমলা পুর নিগমে দু’দুবার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে প্রথম হামিরপুরের নাদৌন বিধানসভা আসন থেকে হাত প্রতীকে লড়ে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে ফের জিতলেও ২০১২ সালে হেরে গিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে ফের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। এবারেও ফের জিতে এসেছেন।
বরাবরই গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হিমাচলের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯-ছয় বছর হিমাচলে কংগ্রেসের প্রধান কাণ্ডারীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। আর প্রদেশ সভাপতি থাকার সময়ে দলীয় বিধায়ক, নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশেছিলেন। তাঁদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়েছিলেন। আর তাঁর অমায়িক ব্যবহার, মানুষের মধ্যে সহজে মিশে যেতে পারার মতো গুণাবলীই হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে পৌঁছে দিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।