নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মুখ খুললেন সিধু। জানিয়ে দিলেন সত্যের জন্য তিনি লড়াই করবেন। বুধবার সকালে একটি ভিডিয়ো বার্তায় পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, অন্যায়ের সঙ্গে তিনি কখনও সমঝোতা করেননি। আগামীদিনেও করবেন না।
সমর্থক এবং পঞ্জাববাসীদের জন্য তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিয়ো বার্তায় সিধু জানিয়েছেন, “গত ১৭ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। রাজ্য তথা রাজ্যবাসীর স্বার্থই ছিল আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। এটাই ছিল আমার একমাত্র রাজনৈতিক ধর্ম। এটাই ছিল আমার রাজনৈতিক লড়াই। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। আমার রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল রাজ্য তথা রাজ্যবাসীর সার্বিক কল্যাণ। আর সেই লক্ষ্য থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই।
বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে আচমকাই ইস্তফা দেন সিধু। তাঁর এই ইস্তফাকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতি তপ্ত হয়ে ওঠে। একা সিধু নন, একই দিনে ইস্তফা দেন,রাজিয়া সুলতানা। ইস্তফাপত্রে তিনি লেখেন, সিধুর প্রতি সমর্থন জানাতেই তিনি মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।দলের একজন সাধারণ সমর্থক এবং কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাব। সিধুর ইস্তফার সিদ্ধান্তেক সমর্থন জানিয়ে, রাজিয়া বলেছেন, সিধু আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক। পঞ্জাব তথা পঞ্জাববাসীর স্বার্থের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন। আত্মসম্মানে লেগেছে বলেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন সিধু। আমারও মনে হয়েছে, নীতি-নৈতিকতার খাতিরে মন্ত্রিসভা থেকে আমারও সরে দাঁড়ানো উচিত।