নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: প্রশাসনের নাকের ডগার সামনে মধ্যপ্রদেশ জুড়ে চলছে বিনা লাইসেন্সে নার্সিং কলেজ। কী করে বছরের পর বছর ধরে এই নার্সিং কলেজ চলছিল, এই সব কলেজগুলির মাথায় রাজ্য সরকারের কোনও পদস্থকর্তার আশীর্বাদী হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের গোয়ালিওর বেঞ্চের বিচারপতি রোহিত আর্য এবং বিচারপতি এমআর পারখের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রঘুবংশী জানিয়েছে, এই ৩৫টি কলেজ লাইসেন্সের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আদালতের কাছে অনুরোধ ছিল, আদালত যেন কর্তৃপক্ষকে তাদের লাইসেন্স মঞ্জুরের জন্য নির্দেশ দেয়। আদালত সেই আর্জি নাকচ করে উল্টে এই সব নার্সিং কলেজের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই ৩৫টি কলেজের লাইসেন্স নেই। তারপরেও তারা বিগত বছর ধরে ছাত্রী ভর্তি করিয়েছে। দিয়েছে প্রশিক্ষণ। মহামান্য আদালত এই সব নার্সিং কলেজের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের এদিনের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে মেডিক্যাল শিক্ষা দফতরের ডাইরেক্টর জিতিন শুক্লা, ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের সচিব সরবজিৎ সিং কাঔর, সিবিআইয়ের ডেপুটি পুলিশ সুপার।
সংশ্লিষ্টমহল হাইকোর্টের এই নির্দেশে রীতিমতো আতঙ্কিত। তাদের মতে, এই সব নার্সিং কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট প্রাপকেরা কোনও না কোনও হাসপাতাল, তা সরকারি হোক বা বেসরকারি, কর্মরত। আগামীদিনে কোনও রোগীর বিপদ ঘটলে কী হবে।