নিজস্ব প্রতিনিধি, ত্রিপুরা : একে একে মা-দাদু- বোন ও প্রতিবেশী এক মহিলাকে কুপিয়ে খুন। তারপর ঠান্ডা মাথায় দেহগুলি ঘরের পাশে গর্ত করে সেখানে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়। না, কোনও পেশাদার খুনির কাজ নয়। খুনি একজন নাবালক। বছর চোদ্দর ওই নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাড়হিম করা এই ঘটনা ত্রিপুরার ধলাই জেলায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার অভিযুক্তের বাবা পেশায় গাড়ি চালক বাড়িতে ছিলেন না। নাবালকটি একে একে পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে খুন করে। তাঁদের খুন করার সময় পাশের বাড়ির এক প্রতিবেশী মহিলা ওই বাড়িতে ঢোকেন। সম্ভবত তিনি কিছু দেখে ফেলায় তাঁকেও খুন করে কিশোর। জানা গিয়েছে, খুন করার সময় খুব জোরে বাড়ির সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল নাবালকটি, যাতে মা-বোনদের আর্তনাদ বাড়ির বাইরে কেউ না শোনেন। খুনের পর ঘরের পাশে গর্ত করে সেখানে তিনটি দেহ ফেলে মাটি চাপা দিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা পরে বিষয়টি টের পেয়ে কিশোরের বাবাকে খবর দেন। বাবা এসে সোজা থানায় চলে যান। সেখান থেকে পুলিশকে সঙ্গে এনে বাড়িতে ঢোকেন। একে একে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয়। রবিবার এক পেট্রল পাম্প থেকে অভিযুক্ত নাবালককে গ্রেফতার করা হয়।
ঠিক কী কারণে এই খুন তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের অত্যাধিক মোবাইলে আসক্তি ছিল। বিষয়টি নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হত নাবালকের। সেই কারণে এই খুন হতে পারে বলে অনুমান। যেভাবে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে, তা দেখে চমকে উথছেন পুলিশের দুঁদে অফিসাররাও।