নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে দিল্লির রামলীলা ময়দানে শুরু হয়েছে বিরোধী জোট INDIA সমাবেশ । সেখানে উপস্থিত ছিলেন- রাহুল গান্ধি, সোনিয়া গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে, শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, তেজস্বী যাদব, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা, সুনিতা কেজরিওয়াল, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব সহ বিরোধী শিবিরের বহু শীর্ষ নেতারা।
এদিনের সমাবেশ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন,’কেজরিওয়াল কী অন্যায় করেছেন? দিল্লির শিক্ষার উন্নতি থেকে মানুষকে সাহায্য করেছেন।‘ অন্যদিকে শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন,’বিজেপিকে সমর্থনকারী দলগুলি হল ইডি, সিবিআই এবং আয়কর বিভাগ। গোটা দেশ কেজরিয়ালের সঙ্গে রয়েছে। আমরা ভয় পাই না।‘উদ্ধবের বলা একই কথার সুর শোনা গেল বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং এনসিপি-এসসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের কথায়। আরজেডি নেতা বলেন, “ইডি, সিবিআই এবং আইটি হল বিজেপির সেল। লালুজিকে বহুবার হেনস্থা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা ভয় না পেয়ে একসঙ্গে লড়াই করব।‘ আর শরদ পাওয়ার কেজরির গ্রেফতারিকে ‘গণতন্ত্র ও সংবিধানের ওপর হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও, এই সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে পাঁচটি দাবির করা বললেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা। তিনি বলেন , “প্রথমে হেমন্ত সোরেন ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।দ্বিতীয় নির্বাচন কমিশনের উচিত লোকসভা নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। তৃতীয় ইডি, সিবিআই এবং আইটি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চতুর্থ বিরোধী দলকে আর্থিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। পঞ্চমত, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি যে অর্থ সংগ্রহ করেছে, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করতে হবে।“ অন্যদিকে এই সভায় মোদির বলা ‘৪০০ পার’ নিয়ে সরব হয়েছেন অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, আপনি যদি ৪০০-র বেশি আসন পেতে চলেছেন, তবে আপ নেতাকে ভয় পাচ্ছেন কেন? আপনি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে পাঠিয়েছেন। শুধু ভারতীয়রা নয়, গোটা বিশ্ব এর সমালোচনা করছে।‘ একথায় বলতে গেলে লোকসভা নির্বাচনের আগেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি এবং ইডি- সিবিআইকে হাতিয়ার করল বিরোধী জোট INDIA ।