নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের বুকে বিজেপি(BJP) অপশাসন রোধে জোট বেঁধেছে দেশের সব বড় বিজেপি বিরোধী দল। জন্ম নিয়েছে বিজেপি বিরোধী মহাজোট INDIA। সেই জোটের ভয়ে প্রবল আতঙ্কে খোদ প্রধানমন্ত্রী দেশের নামটাই বদলে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। সেই জোটেও সোনিয়া গান্ধি- রাহুল গান্ধির কংগ্রেসের(INC) সঙ্গে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। জোটে সামিল হয়েছে বাংলার বুকে ৩৪ বছরের রাজত্বপাট চালিয়ে যাওয়া বামফ্রন্টের বড় দাদা CPI(M)-ও। কিন্তু সেই জোটের স্বার্থে মমতা যখন বাংলার মাটিতে দ্রুত আসন রফা সেরে ফেললে INDIA জোটের মুম্বই বৈঠকে প্রস্তাব দেন, তখন তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিলেন CPI(M)’র নেতা সীতারাম ইয়েচুরির। অথচ এদিন অর্থাৎ শুক্রবার দেশজুড়ে যে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে INDIA জোটের ৪টি দল প্রত্যেকে ১টি করে আসন জিতেছে। খালি শূন্য ঝুলি নিয়ে ফিরতে হয়েছে সেই CPI(M)-কে।
এদিন যে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে INDIA জোটের ৪টি দল ৪টি রাজ্যে ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপি জয়ী হয়েছে ২টি রাজ্যের ৩টি আসনে। তারমধ্যে ১টি আসন আবার তাঁরা CPI(M)’র কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। এদিন যে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মাটিতে ধূপগুড়িতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেরলের পুত্তুপল্লি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের ঘোসি আসনে জয়ী হয়েছে সমাজবাদী পার্টি এবং ঝাড়খণ্ডের ডুমরি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পার্টি। এই ৪টি দলই বিজেপি বিরোধী INDIA জোটের শরিক। সেই জোটে রয়েছে CPI(M)-ও। তাঁদের প্রার্থী ছিল বাংলার ধূপগুড়ি, কেরলের পুত্তুপল্লি এবং ত্রিপুরার বক্সানগর ও ধনপুর কেন্দ্রে। দেখা যাচ্ছে ৪টিতেই তাঁরা হেরেছে। এদের মধ্যে বক্সানগর আবার CPI(M)’র দখলেই ছিল। সেটাও তাঁরা ধরে রাখতে পারেনি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কমরেড, এই যখন অবস্থা তখন মমতার প্রস্তাবে কেন এত প্রবল বিরোধিতা? ত্রিপুরায় আপনারা নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে পারছেন না। বাংলার মাটিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়েও জামানত বাঁচাতে পারছেন না। ত্রিপুরার মাটিতে বিজেপিকে হারাতে পারছেন না। আবার কেরলের বুকে নিজেদের জমিতেও জিতে দেখাতে পারছেন না। যখন কোনওটাই ঠিক মতন করে উঠতে পারছেন না তখন সকলের সঙ্গে লড়াই করার ফ্রন্টগুলো খুলে রেখেছেন কেন? বিপ্লব আগে নাকি বিজেপিকে হারানোর প্রয়োজন আগে? এবার কিন্তু এটা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে। মুখে বলবেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবো আর কাজের ক্ষেত্রে তাঁদেরই সুবিধা পাইয়ে দেবেন, এই দুমুখো নীতি কিন্তু এবার আমজনতা মেনে নেবেন না। আজ শুধু খালি হাতে ফিরেছেন। আগামী দিনে কিন্তু দেশের রাজনীতিতে আপনারা নাও থাকতে পারেন। কোনও একদিন ঘুম থেকে উঠে হয়তো দেখলেন বাংলার বিধানসভা থেকে আপনারা যেমন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছেন, ঠিক তেমনি দেশের রাজনীতি থেকেও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছেন। সময় থাকতে থাকতেই বিপ্লবের অভিমুখ পরিবর্তন করাই শ্রেয়।