নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি কর্মী তথা স্থানীয় ঠিকাদার সন্তোষ পাতিলের মৃত্যুতে নাম জড়িয়েছে কর্ণাটকের গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী এস ইশোরাপ্পার। এবার কর্ণাটকের মন্ত্রী ইশোরাপ্পার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে সন্তোষ পাতিলকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে।
কর্ণাটকের মন্ত্রী ইশোরাপ্পার দুই সহযোগী বাসবরাজ ও রমেশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সন্তোষ পাতিলের ভাই প্রশান্ত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার কর্ণাটকের উদুপিরের একটি গেস্ট হাউসের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই বিজেপি কর্মী তথা স্থানীয় ঠিকাদার সন্তোষ পাতিলের মৃতদেহ। তিনি সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তবে নিজের জীবন শেষ করার আগে ওই ঠিকাদার একটি সুইসাইড নোট লেখেন। সেটি তাঁর একজন সাংবাদিক বন্ধুকে পাঠান বলে জানা গিয়েছে।
কর্ণাটকের ঠিকাদার সন্তোষ কে পাতিল মৃত্যুর আগে তাঁর সুইসাইড নোটে লেখেন, ‘আরডিপিআর মন্ত্রী কে এস ইশোরাপ্পা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি আমার আশা-আকাঙ্খাকে পাশে রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের প্রিয় লিঙ্গায়ত নেতা বিএসওয়াই এবং অন্য সকলের কাছে হাত জোড় করে আমার স্ত্রী এবং বাচ্চাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
কিছুদিন আগেই বিজেপি কর্মী তথা এই ঠিকাদার মন্ত্রী কে এস ইশোরাপ্পার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। অভিযোগে পাতিল বলেছিলেন, কাজের জন্য ইশোরাপ্পা একটি মূল্যের অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রাখেননি। ঘটনার দুই বছর কেটে গিয়েছে। এর জেরে তিনি বিপুল ঋণে জর্জরিত হয়ে গিয়েছিলেন। মহামারী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে সেই টাকা এখনও পাওয়া যায়নি। বার বার পাওনাদাররা হামলা করছে। মান সম্মান নিয়ে টানাটানি হচ্ছে, সেই কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।