নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নদীতে জল আনতে গিয়ে সিংহের পেটে ৭ বছর শিশু। বাবা-মা খুঁজতে গিয়ে দেখতে পেল ছেলের মুণ্ডু আর পা পড়ে রয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, গুজরাতের আমরেলিতে। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন জল আনতে নদীতে গিয়েছিল শিশুটি। সেখানেই সিংহ আক্রমণ করে তাঁকে খেয়ে ফেলে। তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের একটি পরিবার আমরেলির পানিয়া গ্রামে বাবলা গাছ কাটছিল, সেই সময় তাঁদের তিন সন্তান জল আনতে কাছের নদীতে গিয়েছিল। হঠাৎ-ই তাঁরা সিংহের গর্জন শুনতে পায়। যা শুনে দুটি শিশু সেখান থেকে তড়িঘড়ি পালিয়ে গেলেও রক্ষা পায়নি ৭ বছরের শিশুটি। তাঁকে ধরে ফেলে সিংহ এবং টেনে হিঁচড়ে বনের দিকে নিয়ে যায়, কামড়ে শিশুটিকে টুকরো টুকরো করে ফেলে।

পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে খুঁজতে নদীর ধারে ছুটে গেলে, তাঁরা শুধুমাত্র শিশুটির মাথা, পা এবং কিছু হাড় দেখতে পান। সিংহের নৃশংস আক্রমণে কান্নায় ভেঙে পড়েছে নিহত শিশুটির বাবা-মা। তবে আমরেলিতে এই ঘটনা প্রথম নয়, গত অক্টোবরেও, আমরেলির জিক্কাদ্রি গ্রামে একটি সিংহীর আক্রমণে মারা যায় পাঁচ বছরের শিশু। নির্মমভাবে বন্যজন্তুটি তাঁকে হত্যা করে। এই ঘটনার পরে সিংহ আক্রমণের এটি দ্বিতীয় ঘটনা। এই ঘটনায় বনকর্মীদের দায়িত্ববোধের প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে বন বিভাগ জানিয়েছে, ‘আমরা তথ্য পাওয়ার পর, আমাদের দল ২ ঘন্টার মধ্যে সিংহটিকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারের পর, সিংহটিকে ক্র্যাঙ্কাচ অ্যানিমেল কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মানুষের উপর আক্রমণের জন্য তার পরীক্ষা করা হবে এবং সে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাকে একটি পশু যত্ন কেন্দ্রে রাখা হবে।’ যাই হোক, তথ্য অনুসারে, সিংহের মর্মান্তিক আক্রমণে নিহত শিশুটির নাম রাহুল বারিয়া এবং তার বয়স ৭ বছর।

ঘটনার দিন শিশুটির বাবা নারু বারিয়া এবং অন্যান্য শ্রমিকরা এখানে বাবলা গাছ কাটতে গিয়েছিলেন। ওই এলাকায় সিংহদের ভয়ানক তাণ্ডব চলে। তবে জানা গিয়েছে, আমরেলির ওই এলাকায় সিংহদের তাণ্ডবের কথা জানা সত্ত্বেও সেখানে শ্রমিকরা কুঁড়েঘর তৈরি করে এবং খোলা আকাশের নীচে বাস করে। রাতে এলাকায় সিংহের গর্জন সত্ত্বেও তারা সীমান্ত থেকে যায় না। নিহত শিশুটির পরিবারের মতে, সকালে রাহুল, তাঁদের দুই মেয়ের সঙ্গে একটি নদীতে একটি পাত্রে জল ভরতে গিয়েছিল। এই সময় নদীর তীর থেকে একটি সিংহ তাদের শিকার করার জন্য ছুটে আসে। দুটি মেয়েই পালাতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু রাহল পারেনি।সিংহ রাহুলকে একটি বাবলা গাছের কাছে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে। পরিবার যখন খোঁজাখুঁজি করলে তাঁরা রাহুলের মাথা এবং তার পায়ের নীচের অংশের হাড় খুঁজে পায়।