নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শেষ পর্যন্ত সাংসদ হিসাবে পাওয়া দিল্লির বাংলো খালি করে দিলেন মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর আর্জি খারিজ করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শুক্রবার সকালে বাংলো খালি করে দেন কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ। যদিও বাংলো খালি করে দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী।
ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে গত ৮ ডিসেম্বর এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে। যদিও ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। লোকসভা থেকে বহিষ্কার হওয়ার তিন দিন বাদে গত ১১ ডিসেম্বর মহুয়াকে সাংসদ বাবদ প্রাপ্য সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠায় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্ত ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো থেকে পাততাড়ি গোটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। হয় নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ। আর্জিতে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সাংসদ বাংলোয় থাকার অনুমতি চেয়েছিলেন। যদিও তাঁর আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ। তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদকে বাংলোয় থাকার জন্য ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে আর্জি জানানোর নির্দেশ দেন।
দিল্লি হাইকোরট মহুয়ার আর্জি খারিজের পরেই কেন সরকারি বাংলো খালি করেননি তা জানতে চেয়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরায় সংসদের আবাসন কমিটি। তিন দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়। ওই চিঠির উত্তর না দেওয়ায় মঙ্গলবার ফের মহুয়াকে চিঠি পাঠিয়ে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেয় ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস। ওই চিঠিতে বাংলো স্বেচ্ছায় খালি না করলে বলপ্রয়োগ করা হবে বলে প্রাক্তন সাংসদকে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ফের দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর আর্জি ফের খারিজ করে দেওয়া হয়।