নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: রাজনৈতিক দুরত্ব বাড়লেও যে সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্কে যে চিড় ধরেনি সোমবার বেঙ্গালুরুতে মহাজোটের প্রারম্ভিক বৈঠকে ফের একবার প্রমাণ মিলল। বিজেপি বিরোধী জোটে মমতার কতটা গুরুত্ব তা বোঝা গিয়েছে তাজ ওয়েস্ট এন্ড হোটেলে সোনিয়ার দেওয়া নৈশভোজে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীর ডান পাশেই রাখা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর আসন। শুধু তাই নয়, প্রথমে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নৈশভোজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সোনিয়ার অনুরোধ ফেলতে না পেরে হাজির হলেন নৈশভোজে। শুধু তাই নয়, নৈশভোজে সারাক্ষণই প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রীর পাশেপাশে রইলেন।
আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়রথ রুখতে কী রণকৌশল নেওয়া হবে তা চূড়ান্ত করতে কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দিয়ে বেঙ্গালুরুতে জড়ো হয়েছেন পদ্ম শিবিরি বিরোধী বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। শুধুমাত্র শরদ পওয়ার আসেননি। তিনি আজ মঙ্গলবার পৌঁছবেন। বাকি সব দলের নেতা নেত্রীই সোমবার বিকেলের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন। আর সন্ধেয় অভিজাত হোটেলে প্রারম্ভিক বৈঠকে যেন বিরোধী শিবিরের চাঁদের হাট বসেছিল। সোনিয়া গান্ধি থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নীতীশ কুমার, এম কে স্ট্যালিন, হেমন্ত সোরেন, উদ্ধব ঠাকরে, লালুপ্রসাদ যাদব, অখিলেশ যাদব, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, সুপ্রিয়া সুলেরা ছিলেন।
প্রারম্ভিক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল এগারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলবে বৈঠক। নয়া মহাজোটের নাম চূড়ান্ত করার পাশাপাশি কী-কী কর্মসূচি নেওয়া হবে, জোটের আসন রফা কীভাবে হবে তা নিয়ে একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। সূত্রের খবর, বৈঠকের পরে মহাজোটের পক্ষ থেকে মণিপুরের জাতি হিংসা নিয়ে যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হবে।