নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৭ মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। এবার সংঘর্ষ রুখতে মণিপুর সরকারের ফের নয়া নির্দেশ। পূর্ব অনুমতি ছাড়া জেলা, প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা যাবেনা। এই মর্মে মণিপুর সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে জাতিগত সংঘর্ষ আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা মণিপুর সরকারের। নির্দেশ লঙ্ঘন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যসচিব বিনীত জোশী এক বিবৃতি জারি করে নির্দেশ দেন, “রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া কেউ জেলা, মহকুমা, স্থান, প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা করবেন না। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে মণিপুর সরকারের নজরে এসেছে যে অনেকেই সমাজ সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, জেলাগুলির নাম পরিবর্তন করছেন বা নাম পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন। এগুলি আপত্তিকর। রাজ্যের জাতিগুলির মধ্যে বিতর্ক ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে”। চূড়াচাঁদপুর ভিত্তিক জো সংগঠন এই জেলাকে ‘লামকা’ হিসাবে নামকরণ করার পরেই এই ঘটনা সামনে আসে।
৩ মে মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর ১৮০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক মানুষ। মেইতি সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতির মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি ‘উপজাতি সংহতি মার্চ’ সংগঠিত হওয়ার পরেই সংঘর্ষ ছড়ায়।
মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইতি এবং অধিকাংশ মানুষ ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। জনজাতি-নাগা এবং কুকি মিলিয়ে ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করে।