নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ানোর মূল্য চোকালেন বসপার সাংসদ দানিশ আলি। শনিবার দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন ‘বিজেপি বান্ধব’ বসপা নেত্রী মায়াবতী। আর তথাকথিত দলিত ও মুসলিম মসিহা হিসাবে পরিচিত বসপা নেত্রীর ওই পদক্ষেপ নিয়েই জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ‘বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে খুশি করতেই দানিশের মতো কট্টর বিজেপি বিরোধী সাংসদকে বহিষ্কার করেছেন মায়াবতী।’
গত সেপ্টেম্বরে চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে লোকসভায় আলোচনার মধ্যেই বসপা সাংসদ দানিশ আলির দিকে আঙুল উঁচিয়ে তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদী’, ‘ঘুসপেটিয়া’ বলে সম্বোধন করেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। এমনকি হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনা বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। মুসলিম হওয়ার অপরাধে দানিশ আলিকে সংসদের মধ্যেই অপদস্থ করা রেমেশ বিধুরিকে পুরস্কৃত করে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাকে রাজস্থান বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস নেতা শচিন পাইলটের নির্বাচনী কেন্দ্র টঙ্কের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের সাংসদকে এমন অপমানের পরেও মুখ খোলেননি দলিত ও সংখ্যালঘুদের মসিহা হিসাবে নিজেকে জাহির করা বসপা নেত্রী মায়াবতী।
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে এথিক্স কমিটির বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন দানিশ আলি। এমনকী কৃষ্ণনগরের সাংসদকে লক্ষ্য করে এথিক্স কমিটির বিজেপি সদস্যদের অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদে এথিক্স কমিটির বৈঠক বয়কটও করেছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে একাধিকবার মহুয়ার সমর্থনে মুখ খুলছিলেন। শুক্রবারই ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিজেপি শির্ষ নেতৃত্বকে খুশি করতে দানিশকে ‘দলীয় অনুশাসন ভাঙার’ মতো ঠুনকো অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করলেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী।