নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নিজের ঢাক নিজে পেটানোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জুড়ি মেলা ভার। গত নয় বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের মুখকে দেশের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে যথেষ্টই সফল হয়েছেন স্বঘোষিত চা-ওয়ালা। আর তা করতে হরির লুঠের মতো জনগণের দেওয়া করের টাকা খরচ করে যাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ২০১৮-১৯ আর্থ বর্ষ থেকে চলতি বচরের ১৩ জুলাই পর্যন্ত বিজ্ঞাপন বাবদ ৩,০৬৪. ৪২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অধিকাংশ টাকা খরচ হয়েছে বিজেপি পেটোয়া সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে।
গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় তথ্য ও সম্প্রচারের পক্ষ থেকে এক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ থেকে চলতি বছরের ১৩ জুলাই পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের বিজ্ঞাটন বাবদ খরচ করা হয়েছে ৩,০৬৪.৪২ কোটি টাকা। তার মধ্যে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে খরচ হয়েছে ১,৩৩৮.৫৬ কোটি টাকা। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অর্থাৎ টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিতে খরচ হয়েছে ১,২৭৩ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। হোর্ডিং-ফ্লেক্স-সহ আউটডোর বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে খরচ হয়েছে ৪৫২.৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে। লোকসভা ভোট ছিল ওই সময়ে। আর ওই ভোটে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিজ্ঞাপনের পিছনে জনগণের টাকা দেদার খরচ করা হয়েছিল। ওই বছর খরচ করা হয়েছে ১,১৭৯.১৬ কোটি টাকা। পরের বছর ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে খরচ হয়েছে ৭০৮.১৮ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে করোনার তাণ্ডবের কারণে ঘরবন্দি হয়েছিলেন দেশবাসী। পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জনজীবন। মোদির ঢাক পেটানো তখনও বন্ধ হয়নি। ওই বছরে খরচ হয়েছে ৪০৯.৪৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে ৩১৫.৯৮ কোটি টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষে ৪০৮.৪৬ কোটি টাকা।