নিজস্ব প্রতিনিধি: গোয়া বিধানসভায় পা রাখতে চলেছে তৃণমূল। সোমবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত থেকে জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন বিধায়ক তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চার্চিল আলেমাও। এর আগেই গোয়ার আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। তিনিও গোয়া বিধানসভার সদস্য ছিলেন। তবে আগেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। এদিন চার্চিল আলেমাও তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় গোয়া বিধানসভায় এনসিপি মিশে গেল তৃণমূল কংগ্রেসে। গোয়ার একমাত্র এনসিপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চিঠি সোমবারই গোয়া বিধানসভার স্পিকারকে পাঠিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন তৃণমূলে যোগদানের পর চার্চিল আলেমাও বলেন, ‘তাঁকে এখন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবেই মনে করা হোক। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, গোয়ার একমাত্র NCP বিধায়ক তৃণমূলে যাওয়া মানেই এখানে সরকারিভাবে মিশে গেল NCP-TMC। তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন সোমবারই গোয়া বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, গোয়া বিধানসভায় একমাত্র NCP বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে যেন এখন থেকে তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবেই ধরা হয়। পাশাপাশি তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে সর্বদল বৈঠক বা পরিষদীয় কাজকর্মের জন্য স্পিকারকে দুজনের নামও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। জো গোমস এবং আভিতা বন্দোদকর নামে দুই তৃণমূল নেতাই এখন গোয়া বিধানসভায় তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করবেন চার্চিল আলেমাওয়ের সঙ্গে। ফলে মেঘালয়ের মতো গোয়াতেও বিনাযুদ্ধেই বিধানসভায় প্রবেশ ঘটে গেল তৃণমূলের।