নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : ইন্ডিয়া গেটে স্থাপিত হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গ্রানাইট মূর্তির। আনুষ্ঠানিকভাবে নেতাজির সেই মূর্তি উন্মোচন করে ইতিহাস রচনা করলেন মোদি। ঔপনিবেশিকতার প্রতীক সরিয়ে প্রতিস্থাপিত হল দেশনায়কের মূর্তি। বাবার মূর্তি বসায় খুশি হলেও গোটা আয়োজনকে ‘বিশৃঙ্খলা’ বলে অভিহিত করেন নেতাজি-কন্যা অনিতা। তাই আমন্ত্রণ থাকলেও অনুষ্ঠানে আসেননি বলে বলে জানান তিনি।
ভারত সরকারের নেতাজির মূর্তি স্থাপনের অত্যন্ত ‘প্রতীকী গুরুত্ব’ রয়েছে বলে মনে করছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ। সংবাদ সংস্থাকে নেতাজি কন্যা বলেন, “নেতাজির মূর্তি কিং পঞ্চম জর্জ-এর মূর্তির স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত প্রতীকী মূল্যের। যে স্থানে এক ঔপনিবেশিক শক্তির প্রতীক অবস্থান করত সেই স্থানে ভারত একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশনেতাকে স্থাপন করেছে যা প্রতীকী তাৎপর্যের দাবি রাখে।” মূর্তি উদ্বোধনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত পথের নতুন নামকরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি সুভাষ-কন্যা অনিতা বসু পাফ। এই বিষয়ে এর আগে অনিতা বলেন, ‘২৯ অগস্ট আমাকে খবর দেওয়া হয়েছিল যে একটা আমন্ত্রণ আসতে পারে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রক সরকারি আমন্ত্রণপত্র পাঠায়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অনুষ্ঠানসূচি দেখলাম না। অবশ্য কিছু নাও হতে পারে। আমি যতটুকু জানি, প্রধানমন্ত্রী খুব অল্পক্ষণের জন্য উপস্থিত থাকবেন। সেখানে গেলে অনেক দূর থেকে তাঁকে শুধু দেখতে পাব। কয়েকশো দর্শকের মাঝে আমি বসে থাকি বা না থাকি, তাতে কারও কিছু যায় আসবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই বিষয়টা নিয়ে খুশি নই। সমস্ত আয়োজনটাই অত্যন্ত বিশৃঙ্খল। তবে মূর্তি উন্মোচনে আমি অবশ্যই খুশি। তবে এই মূর্তি উন্মোচনের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর তারিখটা বেছে নেওয়ার বিষয়টা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। কারণ নেতাজির সঙ্গে এই দিনটির এই তারিখের কোনও যোগ নেই। আমরা মোটামুটি আশা করেছিলাম, ২১ অক্টোবর অর্থাৎ আজাদ হিন্দ গঠনের দিন বা ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের জন্মবার্ষিকীতে এই মূর্তি উন্মোচিত হবে।’ তবে এদিন মূর্তি উন্মোচনের পরে আবেগে ভেসে যান অনিতা। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বারবারই উঠে আসে স্থান মাহাত্ম্য।