নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: গল্প নয় সত্যি। তিন বছরে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে সম্পত্তি রক্ষা করতে সাড়ে ৬৯ লক্ষ টাকা খরচ করেছে উত্তর রেলের লখনউ ডিভিশন। আর ওই বিপুল টাকা খরচ করে ধরা পড়েছে মাত্র ১৬৮টি ইঁদুর। অর্থাৎ প্রতিটি ইঁদুর ধরতে ৪১ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। আরটিআই আইনেই এমন চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মতো তথ্য জানা গিয়েছে।
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের নিমুচের বাসিন্দা আরটিআই কর্মী চন্দ্রশেখর গৌড়। উত্তর রেলে ইঁদুর ধরতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা তথ্য অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। উত্তর রেলের অধীনে পাঁচটি ডিভিশন। ওই পাঁচ ডিভিশন হল, দিল্লি, ফিরোজপুর, আম্বালা, লখনউ এবং মোরাদাবাদ। তার মধ্যে মোরাদাবাদ ও ফিরোজপুর ডিভিশন থেকে কোনও জবাব মেলেনি। দিল্লি এবং আম্বালা ডিভিশন থেকেও যে উত্তর দেওয়া হয়েছে তা ধোঁয়াশায় ভরা। শুধু লখনউ ডিভিশন ইঁদুর ধরার জন্য খরচের সঠিক হিসাব দিয়েছে।
আর সেই হিসাব দেখেই চক্ষু কার্যত চড়কগাছ হওয়ার উপক্রম। লখনউ ডিভিশনের মুখ্য জন তথ্য আধিকারিক (সিপিআইও) জানিয়েছেন, ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ইঁদুর ধরার জন্য ৬৯.৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ২৩.২ লক্ষ টাকা করে খরচ হয়েছে। আর তাতে পাকড়াও করা হয়েছে ১৬৮টি ইঁদুর।’ তবে সিদ্ধিদাতা গণেশের বাহন হিসাবে পরিচিত ইঁদুর কত পরিমাণ সম্পত্তি নষ্ট করেছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনও তথ্য দিতে পারেননি তিনি।