নিজস্ব প্রতিনিধি: সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে প্রেম। ওড়িশার বোলাঙ্গি জেলার বাসিন্দা ১৭ বছরের এক কিশোরের প্রেমে পড়ে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণী। পরে তাঁরা বিয়েও করে। কিন্তু অভিযোগ বিয়ের দুমাস পরই নিজের স্ত্রীকে প্রায় ২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয় ওই কিশোর। সম্প্রতি রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে ওড়িশা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ওই তরুণীকেও। পুলিশ জানিয়েছে, রাজস্থানের বারান জেলায় বছর ৫৫-র এক প্রৌঢ়ের কাছে নিজের স্ত্রীকে বিক্রি করেছিল ওই নাবালক। অভিযোগ সে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিল এরজন্য।
বিয়ের পরেই ওই দম্পতি রায়পুর এবং ঝাঁসি হয়ে রাজস্থানে চলে যায়। সেখানে একটি ইটভাটায় কাজ শুরু করেন দুজনে। কিন্তু বিয়ের মাস দুয়েক পর আরও ভালো চাকরির টোপ দিয়ে ওই কিশোর তাঁর স্ত্রীকে রাজস্থানের বারান জেলায় এক ৫৫ বছরের প্রৌঢ়ের কাছে বিক্রি করে চম্পট দেয়। এর কয়েকদিন পর সে তরুণীর বাড়িতে ফোন করে জানায় তাঁর স্ত্রী অন্য প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই কথা তরুণীর পরিবার বিশ্বাস করতে পারেননি। ফলে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশের তদন্তকারীরা ওই কিশোরর কল ডিটেলস পরীক্ষা করতে গিয়ে অসঙ্গতি খুঁজে পান। এরপরই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়।
পুলিশ ওই কিশোরের খোঁজ পেয়ে তাঁকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। জেরায় সে স্বীকার করে নেয় তাঁর স্ত্রীকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা। এমনকি সে এও জানায় স্ত্রীকে বিক্রি করে পাওয়া ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার বেশিরভাগটাই ভালো-মন্দ খাওয়া দাওয়া করে এবং একটি স্মার্টফোন কিনে খরচ করেছে। তবে ওই কিশোর পুলিশের কাছে দাবি করে যে সে তাঁর স্ত্রীকে বিক্রি করেনি, বরং বন্ধক রেখেছিল। এরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিলে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। যদিও ওড়িশা পুলিশের দাবি, সহজে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গ্রামবাসীরা রীতিমতো পথ অবরোধ করেছিল পুলিশের সামনে। তবে স্থানীয় থানার সাহায্য়ে শেষপর্যন্ত ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ওড়িশায় নিয়ে আসা হয়েছে।