নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গুজরাত হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরে দেশের শীর্ষ আদালতেও স্বস্তি পেলেন না সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। শনিবার জরুরি ভিত্তিতে শুনানিতে বিশিষ্ট সমাজকর্মীকে অন্তর্বর্তী সুরক্ষা দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি পি কে মিশ্র। ফলে মামলা ফেরত গেল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে। নিয়মানুযায়ী, এবার তিন বিচারপতির কোনও নতুন বেঞ্চে মামলা পাঠানো হবে।
২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী গুজরাত হিংসা নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে গত বছরের ২৫ জুন তিস্তা শেতলবাদকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা। আর ওই গ্রেফতারির ঘটনা নিয়ে গোটা দেশেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। গ্রেফতার হওয়ার আড়াই মাস বাদে সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন মোদি সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট সমাজকর্মী। যদিও নিয়মিত জামিনের জন্য নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতিরা।
এদিন সকালেই অবশ্য গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি নির্ঝর দেশাই তিস্তার জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে অবিলম্বে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশের পরেই ফের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিস্তা। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর আবেদনের শুনানির জন্য বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি পি কে মিশ্রকে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গঠিত হয়। সন্ধে সাড়ে ছয়টা নাগাদ শুরু হয় শুনানি। তিস্তার জামিনের বিরোধিতা করেন গুজরাত সরকারের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জামিন দেওয়া নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন দুই বিচারপতি।