নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জাতীয় রাজনীতিতে বরাবরই দো-আঁশলা হিসেবে পরিচিত শরদ পওয়ার। বিরোধী শিবিরে থেকেও বরাবর বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার মতো কাজ করে চলেছেন। গত মাসেই নাগাল্যান্ডে বিজেপি জোট সরকারে শরিক হয়েছিলেন। আর শুক্রবার হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে আদানি কান্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের বিরোধিতা করেছেন। শুধু তাই নয়, মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানিকে যেভাবে রাহুল গান্ধি লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দুই শিল্পপতির পাশে দাঁড়িয়ে দরাজ কণ্ঠে তাঁদের প্রশংসাও করেছেন। পওয়ারের এমন ডিগবাজিতে কিছুটা হলেও বিস্মিত বিরোধী শিবির। খুশিতে ডগমগ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিন আদানির মালিকানাধীন এক টিভি চ্যানেলে একান্ত সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এনসিপি সুপ্রিমোর কথায়, ‘সব কিছু দেখে শুনে মনে হচ্ছে কাউকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি)নিশানা করেই ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে যা অভিযোগ তোলা হয়েছে তা কারা তুলেন, কিসের ভিত্তিতে, তা স্পষ্ট নয়। দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে বিপথে চালিত করার জন্য ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করি।’
আদানি কান্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে সংসদের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে এককাট্টা হয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। যার ফলে কাজকর্মেও বিঘ্ন ঘটেছিল। এদিন শরদ পওয়ার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আদানি কান্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের কোনও প্রয়োজন নেই। রাহুল গান্ধি লাগাতারভাবে গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানিকে লক্ষ্য করে যেভাবে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তারও সমালোচনা করেছেন পওয়ার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিজেপির সঙ্গে কোনও গোপন ডিল করেই আদানি ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন পওয়ার।