নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রথা মেনে সংসদের অধিবেশন (Parliament) শুরু হওয়ার আগে সরকারের তরফ থেকে ডাকা হয় সর্বদল (all party meet) । মূলত প্রধানমন্ত্রীই ডাকেন সর্বদল বৈঠক। অধিবেশন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে বিরোধীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়ে থাকে। রবিবার সংসদের অ্যানেক্স ভবনে ডাকা হয়েছিল সর্ববদল বৈঠক। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক পৌরিহত্য করেন প্রহ্লাদ যোশী। কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বৈঠক চলাকালীন জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) প্রহ্লাদ যোশীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেন। যদিও প্রহ্লাদ যোশী তাঁকে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও এই ব্যাপারে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। নানা প্রান্ত থেকে মোদির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দলের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) টুইট করে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতির সমালোচনা করেন। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর টুইট – সংসদে চলছে সর্বদল বৈঠক। অথচ প্রধানমন্ত্রীই সেই বৈঠকে নেই। এটা কী অসংসদীয় আচরণ নয়?
তবে প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম যে সর্বদল (all party meet)বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন এমন নয়। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের তরফ থেকে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠক বসেছিল গত ২৬ অগাস্ট। সেই বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠক পৌরহিত্য করেন বিদেশ মন্ত্রী (Foreign Minister) এস জয়শঙ্কর। কেন প্রধানমন্ত্রী অনুপস্থিত এই বিষয়ে তাঁর কাছে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই বৈঠকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা উল্লেখ করেন ২০০১ সালের ঘটনা। আমেরিকার আফগানিস্তান দখলের প্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী সর্বদল বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। যদিও এদিনের সর্বদলে মোদির অনুপস্থিতি রীতিমতো কৌতুহল তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন সংসদে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রবেশ নিষেধ, লিফলেট বিলিতেও ‘না’