নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এপ্রিলের পরে মে। দেশে লাগাতার নিম্নমুখী খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি। গত মে মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ২৫ শতাংসে। যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছরের মে মাসে দেশে খুচরো মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খুচরো মূল্যস্ফীতি কমেছে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হওয়াতেই খুচরো মূল্যবৃদ্ধি এপ্রিলের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি আর্থিক বছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৭০ শতাংশে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের পরে প্রথমবারের মতো পাঁচ শতাংশের নিচে নেমেছিল। আর ওই খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ছিল ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছর খুচরোর দেশের শহর ও গ্রামীণ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গগনচুম্বী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চাল-ডাল-ভোজ্যতেল সহ খাদ্যদ্রব্য কিনতে গিয়ে চোখে কার্যত সর্ষেফুল দেখেছিলেন সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। খুচরোর মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে গত বছরের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার রেপো রেট বাড়ানোর পথে হেঁটেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এমনকী মূল্যবৃদ্ধির সহনশীলতার মাত্রা ৬ শতাংশে বেঁধে দেয়।
গত বছরের নভেম্বরে স্বস্তি দিয়ে প্রথম বার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশ সহনসীমার নীচে নেমেছিল খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। জানুয়ারিতে খুচরোর মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছিল ৬ দশমিক ৫২ শতাংশে। ফেব্রুয়ারিতে তা খানিকটা কমে হয় ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মার্চে এক ধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে। খুচরোর মূল্যস্ফীতি কমতে থাকায় সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল। সোমবার জাতীয় পরিসংক্যান কার্যালয়ের (এনএসও) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মে মাসে খাদ্যপণ্যে খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। এপ্রিলে যা ছিল ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।