নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ফের একবার বাড়ল খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি। জুনের চেয়ে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এক ধাক্কায় প্রায় তিন শতাংশের মতো বেড়েছে। সোমবার জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাইয়ে খুচরোর মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশে। যা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সহনশীলতার চেয়ে অনেকটাই বেশি। শুধু তাই নয়, ১৫ মাসের মধ্যে সর্বাধিক।
গত সপ্তাহেই রেপো রেট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আভাস দিয়েছিলেন, চলতি আর্থিক বর্ষে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। তাঁর সেই আভাস মিথ্যে ছিল না এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত রিপোর্টেই তা প্রমাণিত। গত জুন মাসে দেশে খুচরোর মূল্যস্ফীতি মে’র তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। জুন মাসে যেখানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৪.৪৯ শতাংশ, সেখানে জুলাই মাসেই খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ১১.৫৯ শতাংশ।
গত বছর দেশের শহর ও গ্রামীণ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গগনচুম্বী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চাল-ডাল-ভোজ্যতেল সহ খাদ্যদ্রব্য কিনতে গিয়ে চোখে কার্যত সর্ষেফুল দেখেছিলেন সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। খুচরোর মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে গত বছরের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার রেপো রেট বাড়ানোর পথে হেঁটেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এমনকী মূল্যবৃদ্ধির সহনশীলতার মাত্রা ৬ শতাংশে বেঁধে দেয়। গত বছরের নভেম্বরে স্বস্তি দিয়ে প্রথম বার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশ সহনসীমার নীচে নেমেছিল খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। চলতি বছরের মার্চে এক ধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে। এপ্রিলে তা কমে দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৭০ শতাংশে। মে মাসে আরও কমে দাঁড়িয়েছিল ৪.৩১ শতাংশ। টমেটোর দাম গগনচুম্বী এবং উত্তর ভারতে ভয়াবহ বন্যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম জুনের তুলনায় বেড়েছে। গত বছরের এপ্রিলে খুচরোর মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৭৯ শতাংশ।