নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাসন মাজা নিয়ে অশান্তি এবং সেই অশান্তির জেরেই মাকে ফ্রাইং প্যান দিয়ে পিটিয়ে মাকে খুন করল মেয়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে গ্রেটার নয়ডায়। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭৭ সেক্টর, নয়ডার একটি আবাসনের ১৪ তলার বাসিন্দা ওই মা এবং মেয়ের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল বাধে। তাঁদের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অশান্তি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বছর ১৪-এর ওই নাবালিক ছুটে গিয়ে তাঁদের প্রতিবেশীদের জানান যে তাঁর মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রতিবেশীরা তাঁদের ফ্ল্যাটে এসে দেখেন, রক্তমাখা অবস্থায় বছর ৩০-এর ওই মহিলা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফ্রাইং প্যানের আঘাতে মাথায় গভীর চোট লাগার কারণেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, নয়ডার ওই ফ্ল্যাটে মা মেয়ে একাই থাকতেন। মৃত ওই মহিলা গ্রেটার নয়ডার একটি সংস্থার সরবরাহ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বছর পাঁচেক আগে তাঁর সঙ্গে তাঁর স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এবং বিবাহ বিচ্ছেদের পরে তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে গ্রেটার নয়ডার ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক রণবিজয় সিং জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর মেয়ের বাসন মাজা নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। মহিলা তাঁর মেয়েকে বাসন মাজতে বললে সে যখন মায়ের কথা অমান্য করে তখন ওই মহিলা মেয়েকে খুব বকাঝকা করে। এরপরেই ১৪ বছর বয়সী ওই নাবালিকা রেরে গিয়ে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে একটি ফ্রাইং প্যান দিয়ে সপাতে তাঁর মায়ের মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গেই ওই মহিলা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’ তিনি আরই জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকার বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
তবে জানা যাচ্ছে পুলিশের কাছে বয়ান দেওয়ার সময়ে ওই নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে যে সে সন্ধ্যার সময়ে বাইরে হাঁটতে বের হয়েছিল। সে যখন বাড়িতে আসে তখ মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তবে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে ওই নাবালিকার বাইরে ঘুরে বেড়ানোর কিংবা তাঁদের ফ্ল্যাটে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ করার ব্যাপারে কোনও প্রমাণ মেলেনি।