নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দুই মেইতেই পড়ুয়ার খুনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভে গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ মণিপুর। বুধবার একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেঁধেছে। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েও বিক্ষোভ সামলানো যাচ্ছে না। উল্টে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে প্রমাদ গুনছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় তার জন্য তড়িঘড়ি কাশ্মীর থেকে মণিপুর পুলিশে ফেরত পাঠানো হল দুঁদে পুলিশ কর্তা রাকেশ বালওয়ালকে।
২০১২ ব্যাচের মণিপুর ক্যাডারের আইপিএস আধিকারিক বালওয়াল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের বিশ্বস্ত পাত্র হিসেবে পরিচিত। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরেই উপত্যকা ঠাণ্ডা করার দায়িত্ব দিয়ে শ্রীনগরে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বালওয়ালকে ফের নিজের মূল ক্যাডারে অর্থাৎ মণিপুরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, কুকি চিনা জঙ্গিদের শায়েস্তা করার দায়িত্ব দিয়েই তাঁকে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি, বিক্ষোভ দমাতে আরও বেশি সংখ্যক আধা সেনাকেও মণিপুরে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৩ মে থেকে মণিপুরে শুরু হয়েছে জাতি হিংসা। প্রায় পাঁচ মাস ধরে কুকি বনাম মেইতেই সংঘর্ষ চলছে। মাঝে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিন বাদে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পরেই দুই নিখোঁজ মেইতেই পড়ুয়ার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকার ছবি ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। আর তাতেই নতুন করে অশান্তির সূত্রপাত। দুই পড়ুয়ার খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে টানা বিক্ষোভ দেখিয়ে চলছেন মেইতেইরা। বিক্ষোভে রাশ টানতে মঙ্গলবার রাত থেকে টানা পাঁচদিন মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবারই ১৯ থানা এলাকা বাদে গোটা রাজ্যকে অশান্ত ক্ষেত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।