নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: সূচকের পতন দিয়ে শুরু হয়েছিল সপ্তাহের শেষ বেচা-কেনার দিন। বাজার বন্ধের সময় দালাল স্ট্রিট বন্ধ হল সূচকের পতনের মধ্য দিয়েই। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ৩১৯.৩ পয়েন্ট বন্ধ হয়ে দাঁড়ায় ৫৮,৮০০.৪২ পয়েন্টে। অন্যদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ৯০.৮ পয়েন্ট নেমে দাঁড়ায় ১৭, ৫৩৯ পয়েন্টে। এদিন যে সব সংস্থার শেয়ারের সূচক ক্ষতির মুখ দেখেছে, সেই সব সংস্থাগুলি হল পাওয়ার গ্রিড, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখেছে টাটা স্টিল, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, সান ফার্মা, ইনফোসিস, এইচসিএল টেকনোলজি এবং ডা. রেড্ডির শেয়ার। এই নিয়ে টানা তিনদিন সূচক পতনের সাক্ষী রইল দালাল স্ট্রিট।
শেয়ার সূচকের পতনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার শীর্ষকর্তা ভি কে বিজয়কুমার জানিয়েছেন, ডলারের তুলনায় টাকার দাম পড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। এই চিত্র শুধু ভারতেই নয়, লক্ষ্য করলে দেখা যাবে অন্যান্য দেশের শেয়ার বাজারেও চলছে অস্থিরতা। ফলে, শেয়ারবাজার কবে চাঙ্গা হবে, সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এই দুঃসংবাদের মধ্যে আরও একটি দুঃসংবাদ শোনালেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ নরিয়েল রৌবিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিশ্ব আরও এক ভয়াবহ আর্থিক মন্দার মুখোমুখি হতে চলেছে। মন্দার মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে। ডিসেম্বর শেষ হতে না হতেই, বিশ্বের বুকে নেমে আসবে মন্দা। চলবে এক বছরের বেশি সময় ধরে। ২০২৩-য়ের শেষেও এই মন্দা বহাল থাকবে।