নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শালীনতাকে কোনও দিনই মেনে চলেননি তিনি। বিরোধী নেতা-নেত্রীদের উদ্দেশে অশালীন অঙ্গভঙ্গি আর কুৎসিত মন্তব্য করা তাঁর মজ্জাগত স্বভাব। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে বিতর্কে অংশ নিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে কুৎসিত ভাষায় গান্ধি পরিবারকে আক্রমণ করেছেন। কেন গান্ধি পরিবারের কেউ নেহরু পদবি ব্যবহার করেন না সেই প্রশ্ন তুলেছেন। মোদির অশালীন মন্তব্যকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন বিজেপি ও এনডিএ’র সাংসদরা। শুধু তাই নয়, অট্টহাসিতেও ফেটে পড়েছেন।
বিরোধীদের কুৎসিত ভাষায় মোদির আক্রমণ নতুন কিছু নয়। গত বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবাংলায় ভোট প্রচারে এসে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি, ও দিদি’ বলে অশ্লীল ভঙ্গিমায় সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একজন মহিলার সঙ্গে কী ব্যবহার করতে হয়, সেই শিক্ষাটুকুও যে তাঁর নেই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলার মানুষ অবশ্য মোদিকে ওই অশালীন মন্তব্যের যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন বিজেপিকে প্রত্যাখান করে। সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েও পদ্ম শিবিরের নবান্ন দখলের স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছিল। বঙ্গের বিজেপি নেতারাও ভোটের পরে স্বীকার করেছেন, মমতাকে লক্ষ্য করে মোদির ওই অশ্লীল সম্ভাষণ বাংলার শিক্ষিত মানুষ মেনে নেয়নি।
বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পরেও যে প্রধানমন্ত্রীর টনক নড়েনি, এদিন রাজ্যসভায় তাঁর ভাষণের সময়ে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ‘বন্ধু’ আদানিকে নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ তথা গান্ধি পরিবারের প্রতিনিধি রাহুল গান্ধির আক্রমণ যে তাঁর হৃদয়ে আঘাত করেছে তা ফুটে উঠেছে মোদির কথাতেই। তাই ‘বন্ধু’কে আক্রমণকারী গান্ধি পরিবারের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। এদিন গান্ধি পরিবারকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের অভিযোগ, আমরা নাকি নেহরুকে অবহেলা করছি। তা গান্ধি নেহরু পরিবারের সদস্যরা নিজেদের পদবীতে কেন নেহরু শব্দ ব্যবহার করেন না? কিসের লজ্জা?’