নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন সাংসদ তথা বাহুবলী নেতা আতিক আমেদকে কীভাবে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে খুন করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল শুক্রবার মামলার শুনানির সময়ে পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে বলেছে, ‘৫-১০ জন পুলিশ কর্মীর ঘেরাটোপে থাকা সত্বেও একজন এগিয়ে এলো, আর গুলি করল-এটা কিভাবে সম্ভব? কেউ তো অবশ্যই জড়িত।’ সেই সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যে ১৮৩টি এনকাউন্টার করেছে তার বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করেছেন বিচারপতিরা। ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য যোগী প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজের আদালত থেকে সোজা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাহুবলী নেতা আতিক আমেদ ও তাঁর ভাই আশরাফ আমেদকে। হাসপাতালে নিয়ে যা্ওয়ার মুখে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে দুজনকে গুলি করে হত্যা করে সাংবাদিকের ছদ্মবেশধারী দুই সুপারি কিলার। ওই ঘটনা নিয়ে গোটা দেশেই তোলপাড় পড়ে যায়।
ওই হত্যাকাণ্ডের পরে যোগী পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন নিহত আতিক আমেদের বোন আয়েশা নুরি। দাদার মর্মান্তিক মৃত্যুকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নাড়েন তিনি। শুক্রবার ওই আর্জির শুনানিতে কার্যত যোগী প্রশাসনকে তুলোধনা করেন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। উত্তরপ্রদেশে গত ছয় বছরে যে ১৮৩টি পুলিশি এনকাউন্টার হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।