নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঁচি : বিজেপির থাবা থেকে বাঁচতে জোট সরকারের সব বিধায়ককে ছত্তিশগড় পাঠালেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডি বিধায়কদের নিয়ে একটি চার্টাড ফ্লাইট ছত্তিশগড়ের রায়গড়ের উদ্দেশ্যে উড়ে যায়। জানা গিয়েছে, এয়ার পোর্টে উপস্থিত ছিলেন হেমন্ত সোরেন স্বয়ং।
খনি লিজ সংক্রান্ত মামলায় ফেঁসে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। নির্বাচন কমিশন সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের জন্য রাজ্যপালকে সুপারিশ করেছে। তারপরই বাংলার এই পড়শি রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে পড়েছে। এই মওকায় সেখানে বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গড়ার চেনা ছকে চলার চেষ্টা করছে বিজেপি। সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিব্দ কেজরিওয়াল জানান, দিল্লিতে অপারেশন লোটাস ব্যর্থ হওয়ার পর এবার বিজেপি অপারেশন ঝাড়খণ্ড করার চেষ্টা করবে। ঝাড়খণ্ডে বিধায়ক ভাঙার চেষ্টা করবে। বিজেপির হাত থেকে সরকার বাঁচানোই এই মুহূর্তে সবলেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সোরেনের। তাই তিনি দলের ও জোটসঙ্গী দেলের বিধায়কদের ছত্তিশগড় পাঠিয়ে দিলেন। একটি ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, হেমন্ত সোরেনের বাসভবন থেকে দু’টি বিধায়ক বোঝাই বাস আয়ার পোর্টের দিকে রওনা হল। সূত্রের খবর ছত্তিশগড়ে এক রিসর্টে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিধায়কদের। ছত্তিশগড়ে বিধায়কদের পাঠানোর উদ্দেশ্য একটাই। সেখানকার সরকার কংগ্রেসের। তাই সেখানে বিজেপির হাত পৌঁছাবে না। সেকারণেই ‘নিরাপদ’ ছত্তিশগড়ে পাঠানো হল বিধায়কদের।
উল্লেখ্য, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে ৪৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। এর মধ্যে হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ৩০ জন, কংগ্রেসের ১৮ জন এবং আরজেডির একজন বিধায়ক রয়েছেন। মাস দুই আগে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে শিব সেনায় ভাঙন ধরিয়ে একনাথ শিন্ডেদের বিজেপি শাসিত অসমে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। পরে ওই রাজ্যে সরকার গড়ে বিক্ষুব্ধ শিব সেনা ও বিজেপি জোট। একই কায়দায় সরকার বাঁচাতে জোট সরকারের বিধায়কদের ছত্তিশগড়ে পাঠালেন হেমন্ত সোরেন। এখন ‘রিসর্ট পলিটিক্স’ সোরেনের সরকারকে বাঁচাতে পারে কি না সেটাই দেখার।